শিরোনাম
- প্রথমে স্থানীয়, পরে জাতীয় নির্বাচন চায় জামায়াত
- স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে
- শিবচরে ইয়াবা ও ককটেল উদ্ধার
- আ. লীগ নেতার চাঁদা আদায় আড়াল করতে বিএনপির নেতার নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ
- আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
- লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
- বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
- যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
- গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে চুরি হওয়া একটি লেমুর উদ্ধার, গ্রেফতার ১
- গাইবান্ধায় বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন
- এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০
- জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
- অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
- পাহাড়ে জলকেলিতে মাতোয়ারা তরুণ-তরুণীরা
- নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার তাগিদ
- ‘নির্বাচনের আগে সংস্কার ও গণহত্যায় অভিযুক্তদের বিচার চায় জামায়াত’
- মহেশখালীতে অপহৃত ইজিবাইক চালক উদ্ধার
- ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের অভিযান
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৫
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি শিগগিরই
রামেক হাসপাতালের প্যাথলজিতে ভোগান্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) প্যাথলজি বিভাগে নানা কায়দায় ভোগান্তিতে ফেলা হচ্ছে রোগীদের। এতে করে রোগীরা ছুটছেন বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। আবার গত ১৪ বছর ধরে চলছে একটি মাত্র মেশিন দিয়ে। বায়োকেমিক্যাল অটো অ্যানালাইজার মেশিনটি যেন ধুঁকছে বয়সের ভারে।
মান্ধাতার আমলের এই মেশিনটি মাঝে-মধ্যেই হয়ে পড়ছে অকেজো। এতে করে বাইরে পরীক্ষা করাতে যেমন বাড়তি ব্যয় হচ্ছে, তেমনি পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। আর এই সুযোগে দালালদের উপদ্রবও বাড়ছে হাসপাতালে। কোনো রোগীর পরীক্ষার কথা বললেই ওঁৎ পেতে থাকা দালালরা যেন ছোবল মেরে রোগীর স্বজনদের হাত থেকে কাগজ নিয়ে নিচ্ছে। এরপর তাদের পছন্দমতো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে গিয়ে বাড়তি টাকায় পরীক্ষা করাতে বাধ্য করছে। এভাবে অর্থ আদায়ের একটি চক্রও তৈরি হয়েছে এই হাসপাতালে।
রামেক হাসপাতাল সূত্র মতে, এই হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন বর্হিবিভাগ ও চিকিৎসাধীন মিলে প্রায় ১৫০ জন রোগী আসেন নানা রোগ পরীক্ষার জন্য। চিকিৎসাধীন বেশিরভাগ রোগীই হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে যান চিকিৎসকের দেওয়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে। কিন্তু একটা অটো অ্যানালাইজার মেশিনটি রোগীদের চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে চিকিৎসাধীন রোগীদের পরীক্ষা করাতেও বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে নিয়ে যেতে হচ্ছে টেনে-হেঁচড়ে। কারণ অনেক রোগীই হেঁটে চলার শক্তিই থাকে না। এসব রোগীদের বেশিরভাগই থাকেন শয্যাশায়ী। সেইসব রোগীকে বাইরের ডায়াগণস্টিক সেন্টারে নিয়ে যেতেই খরচ হয় ৩০০-৫০০ টাকা।
ভোগান্তির শিকার রোগীর স্বজন আকবর হোসেন বলেন, ‘এক শ্রেণির ভ্যানচালকরা জিম্মি করে এই রোগীদের হাসপাতালের বাইরে গিয়ে পরীক্ষার জন্য আনা-নেওয়া করে থাকে। হাসপাতালের প্রধান ফটক থেকে মাত্র ২-৩ মিনিটের পথ শয্যাশায়ী রোগীদের ভ্যানে করে যাতায়াতের জন্যই এই টাকা আদায় করেন ভ্যানচালকরা। আবার যারা একেবারে গরীব রোগী তারা ওই টাকা দিতে না পেরে অনেকটা টেনে-হিঁচড়েই বাইরে গিয়ে পরীক্ষা করে আনেন। এরপর বাইরের ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে আদায় করা হয় গলাকাটা অর্থ।’
আবির হোসেন নামে এক রোগী অভিযোগ করেন, ‘হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে যে পরীক্ষা ১৫০-৩০০ টাকাতেই করা যায়। সেই পরীক্ষা বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খরচ হচ্ছে ৮০০ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত। এভাবে চরম ভোগান্তির মধ্যে পোহাতে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের।’
নূর হোসন নামে এক স্বজন বলেন, ‘মেশিন নষ্ট দেখিয়ে বাইরে পাঠিয়ে বাড়তি টাকা আদায় করা হচ্ছে কিনা এটাও ক্ষতিয়ে দেখা দরকার। আর যে মেশিন বার বার নষ্ট হচ্ছে, সেটি কেন এতোদিন এই হাসপাতালে থাকবে? প্রয়োজনে নতুন মেশিন বসাতে হবে। এছাড়া রোগীদের জিম্মি করে টাকা আদায় বন্ধ হবে না।’
রামেক হাসপাতালের প্যাথলজিতে পরীক্ষা করতে আসা আয়েশা বলেন, ‘আমার ছেলের রক্তের কি কি সব টেষ্ট দিয়েছে। সেগুলো প্যাথলজিতে করার জন্য রক্ত দেওয়া হয়। কিন্তু দুইদিনেই ঘুরেও রক্ত দেওয়া যায়নি। ১১টার পর তারা আর রক্ত নিতে চাই না। ফলে পরীক্ষাও করা যায়নি। পরে বাইরে থেকে ওই পরীক্ষা করাতে আমার প্রায় তিন হাজার টাকা গুণতে হয়েছে। অথচ হাসপাতালে করানো গেলে সর্বোচ্চ খরচ হত ৮০০ টাকা।’
প্যাথলজির দায়িত্বরত কর্মকর্তা মাহবুব আলম বলেন, ‘আগে বেশির ভাগ রোগ পরীক্ষার রিয়েজেন্ট থাকতো। এখন অনেক পরীক্ষার রিয়েজেন্ট পাওয়া যায় না। ফলে ইচ্ছে থাকা সত্তেও আমরা সেসব পরীক্ষা করতে পারছি না। আবার অটো অ্যানালাইজার মেশিনটি অনেক পুরনো। এটিও সবসময় ঠিকমতো কাজ করে না। মাঝে মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়।’
আরেক কর্মকর্তা মোস্তাক হোসেন বলেন, প্যাথলজির একটা মেশিন ৫ বছর সর্বোচ্চ ভালো সার্ভিস দেয়। এরপর থেকে নানা সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু আমাদের মেশিনটি চলছে ১৪ বছর ধরে। ফলে এখানে সমস্যা লেগেই থাকছে।’
হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস খায়রুল আলম বলেন, ‘পুরনো মেশিনটির কারণে নানা সমস্যা হচ্ছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি আরেকটি নতুন মেশিন আনার জন্য। নতুন মেশিন বসলেই এই সমস্যা থাকবে না।’
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর