২০১৯ সালের ১লা জানুয়ারি ১১ দফা দাবি আদায়ে রাজপথে আন্দোলনে কেটেছে পাটকল শ্রমিকদের। এক বছর ব্যবধানে ২০২০ সালের ১ম দিনেও আন্দোলনে রাজপথে দিন কাটছে এসব শ্রমিকের।
বুধবার খুলনার বিআইডিসি সড়কে চতুর্থ দিনের মতো অনশন পালন করছেন পাটকল শ্রমিকরা। মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ- ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদের ডাকে এ অনশন অব্যাহত রয়েছে। এর আগে রবিবার থেকে দ্বিতীয় দফায় অনশন শুরু করেন শ্রমিকরা।
শ্রমিক নেতারা জানায়, কনকনে শীতে খোলা জায়গায় অবস্থানের কারণে বেশির ভাগ বয়স্ক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। যত সময় যাচ্ছে ততই অসুস্থদের সংখ্যা বাড়ছে। শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়া শ্রমিকদের স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।
প্লাটিনাম জুট মিলের সিবিএ সভাপতি শাহানা শারমিন জানান, অনশনে থাকা তাঁত বিভাগে কর্মরত দুইজন শ্রমিক রাতে স্টোক করেছেন। তারা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঠান্ডাজনিত কারণে প্রায় সবাই অসুস্থ। প্লাটিনাম জুট মিলে ১৫ জন ও ক্রিসেন্ট জুট মিলে ৩০ জন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
সংগঠনের আহবায়ক আ. হামিদ সরদার বলেন, ২০১৫ সালে মজুরি কমিশন ঘোষিত হলেও এখনো পাটকলে তা’ বাস্তবায়িত হয়নি। বর্তমানে মজুরি কমিশনসহ ১১ দফা দাবিতে অনশন করছেন শ্রমিকরা। এছাড়া বকেয়া মজুরি-বেতন পরিশোধের দাবিতে মাঝে মধ্যেই আন্দোলনে যেতে হয়েছে।
তিনি বলেন, দাবি না মানলে দুয়েক দিনের মধ্যে শ্রমিকদের পরিবার-পরিজন অনশনে যোগ দেবেন। যতই কষ্ট হোক, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি চলবে।
অনশনে রাষ্ট্রায়ত্ত ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, ইস্টার্ন ও আলিম জুট মিলের কয়েক হাজার শ্রমিক রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল