নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি ফ্ল্যাট বাসায় চুলা থেকে জমা থাকা গ্যাসের আগুনে স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টায় পাইনাদী সিআইখোলার ৬তলা বিশিষ্ট ইতালী ভবনের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনাটি ঘটে। দগ্ধরা হলো কবির হোসেন (৬৫), তার স্ত্রী রেখা বেগম (৫৫) ও মেয়ে সুফিয়া (২৮)।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে চুলা জ্বালানোর জন্য ম্যাচের কাঠি জ্বালালে ওই ফ্ল্যাটে জমে থাকা গ্যাস বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে রান্নাঘরসহ তিন ঘরেই আগুন ধরে যায়। আসবাবপত্র পুড়ে যায়। বাসার সব দরজা ও থাই গ্লাস ভেঙে যায়। ঘটনার পরই প্রতিবেশী ও স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আগুন নেভায়। পরে দগ্ধ অবস্থায় গৃহকর্তা কবির হোসেন, তার স্ত্রী রেখা বেগম ও মেয়ে সুফিয়াকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে।
আদমজী ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহজাহান জানান, ধারণা করা হচ্ছে লাইনের গ্যাসের চুলার গোড়ায় পাইপে লিকেজ ছিল বা চুলা বন্ধ না করেই পরিবারের লোকজন ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এতে রাতভর দরজা-জানালা বন্ধ থাকায় বাসায় ভেতরে গ্যাস জমে যায়। ভোরে কেউ চুলা জ্বালাতে গেলে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে বাসার ভেতের আগুন ধরে গেলে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়। আমরা পৌঁছার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল খান জানান, দগ্ধদের মধ্যে কবির হোসেনের শরীর ৫৫ ভাগ, স্ত্রী রেখা বেগমের ২০ ভাগ ও মেয়ে সুফিয়ার ৫ ভাগ পুড়ে গেছে। গৃহকর্তা কবির হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক