ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে আটক করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে র্যাব সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, আটক ব্যক্তি পেশায় একজন সিএনজি চালক। তার বিষয়ে আরও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। সে আগেও এ ধরণের ঘটনায় জড়িত ছিল কিনা, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
র্যাব জানায়, ছাত্রীর দেওয়া বর্ণনার সঙ্গে আটক ব্যক্তির মিল রয়েছে। ঘটনার সময় আটক ব্যক্তির অবস্থান আর তার দেওয়া তথ্যে বেশ কিছু গরমিল পাওয়া যায়। সে স্বীকার না করলেও তথ্য উপাত্তে প্রায় নিশ্চিত যে, ঘটনার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
র্যাবের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুপুরে টঙ্গী থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। অত্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষা করে তদন্ত করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে বুধবার সকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কুর্মিটোলাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর বান্ধবীর বাসায় যেতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। এরপর রবিবার গভীর রাতে ওই ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর তাকে হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
পরেরদিন সোমবার সকালে ধর্ষণের শিকার হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রীর বই-ঘড়ি-ইনহেলার কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে যাওয়ার পথে একটি ঝোঁপের মধ্য থেকে উদ্ধার করে র্যাব। একই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ