বরিশাল সিটি কপোরেশনসহ জেলার ১০ উপজেলায় ৩ লাখ ৬০ হাজার ২৪৮ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আগামী শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সিটি করপোরেশন এলাকায় ২২০টি কেন্দ্রে এবং জেলার ১০ উপজেলার ৮৫টি ইউনিয়নের ২৫৫টি ওয়ার্ডের ২ হাজার ২৫০টি টিকাদান কেন্দ্রে বিরামহীনভাবে শিশুদের টিকা খাওয়ানো হবে।
বুধবার সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহামুদ হাসান বলেন, আগামী শনিবার জেলার ১০ উপজেলায় ৩ লাখ ১০ হাজার ৬৩৮ জন ও সিটি এলাকায় ৪৯ হাজার ৬১০ জন শিশুকে টিকা খাওয়ানো হবে। ওইদিন জেলার ১০ উপজেলার ৮৫টি ইউনিয়নের ২৫৫টি ওয়ার্ডে ২ হাজার ২৫০টি টিকাদান কেন্দ্রে ০৬ থেকে ১১ মাস বয়সের ৩৩ হাজার ১০৫ জন শিশুকে নীল রঙের ১ লাখ ওট ক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সের ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৩৩ জন শিশুকে লাল রঙের ২ লাখ ওট ক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন খাওয়ানো হবে। জেলায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে ৪ হাজার ১০০ জনকর্মী।
এদিকে ওইদিন সিটি করপোরেশন এলাকায় ২২০টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৪৯ হাজার ৬১০ জন শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এর মধ্যে ০৬ থেকে ১১ মাস বয়সের ৫ হাজার ১ শ’ শিশুকে নীল রঙের ১ লাখ ওট ক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ বয়সের ৪৪ হাজার ৫১০ শিশুকে লাল রঙের ২ লাখ ওট ক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বলে জানিয়েছেন বিসিসি’র স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ফয়সাল হাজবুন।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহামুদ হাসান বলেন, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি শুক্রবার জুমার নামাজে সকল মসজিদে ইমামরা জেলাবাসীকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সম্পর্কে অবহিত করবেন। অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুকে রক্ষা করতে এই ভিটামিনের বিকল্প নেই বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার