বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় রাঙ্গামাটি নদীতে নির্মাণাধীন গোমা সেতু নির্মাণে সৃষ্ট জটিলতার অবসান হয়েছে। উচ্চতা নিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন সংস্থার (বিআইডবিøউটিএ) আপত্তির কারণে গত প্রায় ৬ মাস ধরে সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিল। গত ২৩ ডিসেম্বর আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভায় বিআইডব্লিউটিএ’র আপত্তি অগ্রহণযোগ্য বিবেচিত হওয়ায় ওই সেতু নির্মাণে আর কোনো জটিলতা রইলো না।
বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসদু খান বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘সারাদেশে বিভিন্ন নদীতে যে উচ্চতায় সেতু নির্মিত হচ্ছে রাঙ্গামাটি নদীর উপর গোমা সেতুও একই উচ্চতায় সেতু নির্মিত হবে। বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আন্তঃমন্ত্রাণালয়ের সভার সিদ্ধান্তনুযায়ী নতুন করে কোনো সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে উচ্চতা নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র সঙ্গে সমম্বয় করা হবে।
নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভার সিদ্ধান্তের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এখনও হাতে পাননি। কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর পরই সেতুর কাজ আবারও শুরু করে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সওজ বিভাগ জানায়, নির্মাণাধীন গোমা সেতুর উচ্চতা হচ্ছে রাঙ্গামাটি নদীতে সর্বোচ্চ জোয়ারের সময় পানির উচ্চতা থেকে ৭ দশমিক ৬২ মিটার। নদীতে নৌযান চলাচল বাঁধামুক্ত রাখতে সেতু নির্মাণ শুরুর আগে বিআইডব্লিউটিএ’র দেয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী এই উচ্চতা রাখা হয়। সবগুলো পিলার স্থাপনের পর গত প্রায় ৬ মাস আগে বিআইডব্লিউটিএ’ নতুন করে জানায় সেতুর উচ্চতা ১২ দশমিক ২ মিটার করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি নিস্পত্তি হয় গত ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায়।
সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ খান বলেন, সেতু নির্মাণে ডিজাইন করার আগে কতটুকু উচ্চতা থাকলে সেতুর নিচ দিয়ে নির্বিঘ্নে নৌযান চলাচল করতে পারবে সে বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র মতামত নেয়া হয়। একই মতামত নিয়ে গোমা সেতুর নির্মাণ শুরু হলেও বিআইডব্লিউটিএ নতুন করে আপত্তি তুলে। তাদের এই দাবি মানতে হলে সবকিছু আবার নতুন করে শুরু করতে হতো। যাতে কোটি কোটি টাকা আর্থিক লোকসান হতো।
বরিশাল-দিনারের পুল-লক্ষ্মীপাশা-দুমকি আঞ্চলিক সড়কের ১৪তম কিলোমিটার স্থানে রাঙ্গামাটি নদীতে ২৮৩ দশমিক ১৮৮ মিটার দৈর্ঘ্য সেতু নির্মাণ করছে সওজ। সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম