“প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আজকের বাংলাদেশ” শীর্ষক ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জেডআরএফের বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান। বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এই সভা হয়। জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা: ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ব্যারিস্টার মীর হেলাল।
সভায় প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, জিয়া স্বাধীন বাংলাদেশের গোড়াপত্তন করেছিলেন। তার বক্তব্যেই সাধারণ মানুষ অনুপ্রাণিত হয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। বিশ্বের যে কয়টা দেশ যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যতিক্রম। মাত্র ৯ মাস সংগ্রাম করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। পাকিস্তানী বাহিনী ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। আমাদের সংগ্রাম শেষ হয়নি এখনো। এখনো পাকিস্তানের প্রেত্মাত্মা রয়ে গেছে।
বিশেষ অতিথি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিজয় দিবস জাতির জীবনে একটি মহিমান্বিত দিন। যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জন বিশ্বের সব জাতির জন্য সুযোগ হয়নি। কিন্তু আমরা সেটা পেয়েছি। এই বিজয়ের নেপথ্যে ছিল অধিকারের প্রশ্ন। দেশের স্বাধীনতা ও জিয়াউর রহমান সমার্থক।
জেডআরএফের বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই নিজের কাজ শেষ করেননি। তিনি জেড ফোর্স গঠন ও যুদ্ধ করেছেন রণাঙ্গণে। স্বাধীনতার জন্য লাখো-কোটি মানুষকে অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রেরণা ও সাহস যুগিয়েছিলেন।
জেডআরএফের মনিটর এবং কমিটির সদস্য ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে বিভেদ নয় বরং সমন্বয়, পশ্চাৎপদতা নয় বরং উন্নয়নকেই লক্ষ্য করে আমাদের অগ্রসর হতে হবে। তাহলেই সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সার্থক হবে।
সভায় ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ডা: হারুন আল রশিদ, ড. একে ফজলুল হক ভুঁইয়া, কৃষিবিদ আনোয়ারুন্নবী মজুমদার বাবলা, জেডআরএফের প্রকৌশলী মাহবুব আলম, অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম, ডা: শেখ মো: ফরহাদ, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ডা: খালেকুজ্জামান দিপু, অধ্যাপক ড. মো: কামরুল আহসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও সভায় ঢাবির সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, ড. সাবিরুল ইসলাম, ডা: এম এ সেলিম, ড. তৌফিক জোয়ার্দার, ডা: পারভেজ রেজা কাকন, আহাদ আহমেদসহ শতাধিক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা