বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন-২০২০ এর খসড়া চূড়ান্তকরণের বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠার পর বৈঠক স্থগিত করা হয়। অনেক প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ, নীতি নির্ধারণী এই বৈঠকে অনেককেই ডাকা হয়নি। যেসব প্রতিষ্ঠানকে ডাকা হয়েছে তাদের অনেকেই রেজিস্ট্রেশনহীন নাম সর্বস্ব, অস্তিত্বহীন ও ভূঁইফোড় প্রতিষ্ঠান।
বুধবার বিকালে আন্তঃমন্ত্রণালয় ও স্টেকহোল্ডারদের ওই সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। তবে পরবর্তীতে যেদিন ওই সভা অনুষ্ঠিত হবে, সেই বৈঠকে যেন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবহিত করা হয় হয়, এমন দাবি জানান রেজিস্ট্রেশনকৃত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষরা। তাদের দাবি, ভূঁইফোড় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়ে বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন-২০২০ এর খসড়া আইন চূড়ান্ত করা হলে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হবে, যা বর্তমান সরকারের শিক্ষা খাতের বিপুল সাফল্য ও অগ্রগতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (আইন-১ শাখা) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন-২০২০ এর খসড়া চূড়ান্ত করা বৈঠকটি জাতীয় সংসদ অধিবেশনের কারণে স্থগিত করা হয়েছে। অনেকেই হয়ত বাদ পড়তে পারেন। তবে তালিকায় থাকা অনেকেই এর আগে মতামত দিয়েছিল। আমরা তো আর সবাইকে চিনি না। তবে কেউ যদি বৈঠকে থাকতে চায় তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমাদের সাথে যোগাযোগ করলেই হবে। তারা সবাই এই বৈঠকে আসলে আমরাই উপকৃত হবো। আমাদের এই নীতিমালা আরো সমৃদ্ধ হবে।
সারাদেশে ২৬টি বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ রয়েছে। চাঁদপুর ইউনানী তিব্বিয়া কলেজের প্রিন্সিপাল হাকিম মো. শাহেদ হোসেন পাটোয়ারী বলেন, সারা দেশে সরকারি বেসরকারি ২৬টি ইউনানী আয়ুবের্দীক কলেজ রয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে ২৪টি প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে স্থগিত হওয়া বৈঠকে ডাকা হয়নি। আগামীতে গুরত্বপূর্ণ এই আইনের খসড়া করার জন্য সবাইকে ডাকলে বৈঠকটি ফলপ্রসু হবে। একই অভিযোগ তোলেন মোমেনশাহী ইউনানী মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল হাকিম কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মিটিংয়ে আমাদের ডাকা হয়নি। অথচ বহু বছর ধরে আমরা এই পেশার আসতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে একাডেমিক শিক্ষা প্রদান করছি। আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার জন্য আমারা যারা এই শিক্ষায় আছি তাদের সবাইকে ডাকলে ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন-২০২০ এর খসড়া চূড়ান্তকরণে কোনো কিছু বাদ পড়লে তা তুলে ধরা সম্ভব হবে।
ইউনানী তিব্বিয়া কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল তুহিন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের চিঠি দেওয়া হয়নি। ওভার ফোনেও ডাকেনি। ডাকলে আমরা মিটিয়ে অংশ নিতাম পরামর্শ দিতাম। আমাদের পরামর্শ গ্রহণ করা হোক না হোক, কিন্তু এতো বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন করা হচ্ছে আর আমাদের ডাকা হচ্ছে না তা হতে পারে না। তিনি বলেন, ফেনী দাওয়াখানা আমাদের। এজন্য আমরা একটি কলেজ করেছি। এখানে শিক্ষা নিয়ে কাজ করছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইউনানী শিক্ষা আইনের চূড়ান্ত খসড়া করছে এখানে আমরা পরামর্শ দিতে চাই।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন