বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পর্ষদের নেতৃবৃন্দ দাবি করেছেন, বিগত কয়েকবছর ধরে চলচ্চিত্রে রাষ্ট্রীয় অনুদানের ক্ষেত্রে অনিয়ম হচ্ছে। তাই এসব অনিয়ম বন্ধে গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চলচ্চিত্র সংসদকর্মীদের দাবির মুখে সরকার দেশীয় চলচ্চিত্রে শিল্প-গুণসম্পন্ন নান্দনিক ও নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য এই অনুদান প্রদানের পদ্ধতি শুরু করেছিল। শুরুর পর্যায়ে চলচ্চিত্র অনুদানেই নির্মিত হয়েছিল ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ বা ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’র মত কালজয়ী চলচ্চিত্র।
কিন্তু চলচ্চিত্র অনুদানে এই শিল্পগুণধর্মী চলচ্চিত্রের ধারা বহমান থাকেনি। বিগত বছরগুলোতে অনুদান প্রদানের এই ব্যবস্থাটি ক্রমান্বয়ে বিতর্কিত হয়েছে এবং অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় অনুদান প্রাপ্ত বিভিন্ন চলচ্চিত্রের মান ও গুণ উভয়ই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পর্ষদের জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক বেলায়াত হোসেন মামুন। এছাড়াও মানববন্ধনে চলচ্চিত্র অনুদানের বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পর্ষদের ঢাকা বিভাগের আহ্বায়ক চলচ্চিত্র নির্মাতা নির্তেশ সি দত্ত, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পর্ষদের ঢাকা বিভাগের সদস্য সচিব আহমেদ হিমু, ঢাকা বিভাগীয় কমিটির সহ-সদস্য সচিব রুমকী রুসা এবং তানভীর আহমেদ প্রমুখ।
তারা বলেন, বিষয়টি বেশ কিছুদিন ধরেই আমাদের চলচ্চিত্র অঙ্গনে আলোচিত এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে বহু সেমিনার, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেশ কয়েকজন চলচ্চিত্র সমালোচক ও লেখক এই বিষয়ে জাতীয় দৈনিকে কলাম ও নিবন্ধ লিখে তথ্য মন্ত্রণালয় তথা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের প্রয়াস করেছেন।
কিন্তু কার্যত আমরা সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো সাড়া পাইনি অথবা তথ্য মন্ত্রণালয়কে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখিনি। চলচ্চিত্র অনুদান প্রাপ্তিতে রাজনৈতিক প্রভাব, প্রশাসনিক তদবির বা অন্যান্য অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার অবসান চেয়ে পর্ষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা চাই চলচ্চিত্র অনুদানের এই রাষ্ট্রীয় প্রণোদনাটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহি প্রক্রিয়ায় গতিশীল থাকুক।
আমরা চাই চলচ্চিত্র অনুদান কেবলমাত্র শিল্প-গুণসম্পন্ন নান্দনিক ও নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্রের জন্য সংরক্ষিত থাকুক। চলচ্চিত্র অনুদান দেশের তরুণ চলচ্চিত্রকর্মীদের সৃষ্টিশীলতাকে ধারণ করুক।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর