গাজীপুর সদর উপজেলার পাইনশাইল ও ভাওয়াল মির্জাপুর এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত ওই অভিযানে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় ১১টি অবৈধ ইটভাটার আগুন নিভিয়ে ভেকু দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় এবং প্রত্যেকটি ইটভাটার মালিককে ৬ লাখ টাকা করে সর্বমোট ৬৬ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য পূর্বক তা আদায় করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আব্দুস সালাম সরকার জানান, ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া ইটভাটাগুলো হলো-আব্দুল আজিজের মেসার্স কাঁচা রস ব্রিকস (কে আর বি), জহিরুল হক পলাশের মেসার্স স্টার ব্রিকস, শরিফুল আলমের ডগরী ব্রিকস (এম এ কে-২), আব্দুর রহমান সরকারের মেসার্স আদিব ব্রিকস (এ আর সি), মোঃ বশির আহমেদের বাংলাদেশ ন্যাশনাল ব্রিকস (বি এন বি), সোহান আহমেদ রিপনের মেসার্স হাজী ব্রিকস (এম এইচ বি), নাসিম সিকদারের মেসার্স সোহাগ-বাপ্পি ব্রিকস (এস বি সি) এবং মোঃ রফিকুল ইসলামের এন আর ব্রিকস (এন আর বি)। এছাড়া ভাওয়াল মির্জাপুর এলাকায় আমীন উদ্দিনের সুইটি ব্রিকস (এস আর বি), আয়নাল হকের আঁখি ব্রিকস (এ আর বি) এবং ফজলুল হক মুসুল্লির ন্যাশনাল ব্রিকস।
এসময় পরিবেশ অধিদপ্তরের গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুস সালাম সরকার, সহকারী পরিচালক মোঃ আশরাফ উদ্দিন ও মমিন ভূঁইয়া, র্যাব-১ গাজীপুর, জেলা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুস সালাম সরকার জানান, গাজীপুরে মাসব্যাপী ইটভাটা বিরোধী অভিযানে ১৯ টি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় এবং সর্বমোট ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পরিবেশ দূষণ রোধে গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর