পাট-সুতা ও বস্ত্র কল শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক সহিদুল্লাহ চৌধুরী দেশ ও বিশ্বব্যাপী পাটের চাহিদা পূরণে রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলগুলো আধুনিকায়ন করে চালুর আহ্বান জানিয়েছেন। আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পাট-সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান করেন।
সহিদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, পাটকল বন্ধ করায় পাটপণ্যের চাহিদা পূরণ ও রপ্তানির সুযোগ হাতছাড়া হলে, তা কর্মসংস্থান, শিল্প, অর্থনীতি ও জাতির জন্য আত্মঘাতী হবে। কারণ এটা দেশের শিল্প ও কর্মসংস্থানের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
তিনি বলেন, করোনার কারণে সারা বিশ্বে অনেক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু করোনা বাংলাদেশের পাটশিল্পের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসছিল। করোনা পরবর্তীকালে পাটজাত পণ্যের চাহিদা যে পরিমাণ বেড়েছে, তা উৎপাদন এবং সরবরাহের সক্ষমতা একমাত্র বাংলাদেশের রয়েছে। এটা আমাদের বিরাট এক সম্ভাবনার জায়গা ছিল। জুলাই মাস থেকে রাষ্ট্রীয় পাটকলগুলো বন্ধ। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল তিন মাসের মধ্যে তারা কারখানাগুলো চালু করবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কারখানা চালুর কোনো শব্দ নেই। তারা কী করছেন দেশবাসী জানে না। এত বড় একটি জাতীয় শিল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সেটা দেশবাসী জানবে না, এর চেয়ে দুঃখের কিছু নেই। আমরা চাই এ বিষয়গুলো দেশবাসী জানুক এবং দেশবাসী সিদ্ধান্ত নিক তারা কী করবেন। বর্তমানে একমাত্র পাটশিল্পে ৬ মাসে দেড় লাখ লোকের কর্মসংস্থান করা সম্ভব। পাটপণ্য বর্তমানে ৯ হাজার কোটি টাকা রপ্তানি হয়। এক বছরের মধ্যে বার্ষিক ২০ হাজার কোটি টাকার পাটজাত পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল আহসান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক মছিউদ্দৌলা, আসলাম খান, আবুল কালাম আজাদ, মো. আনোয়ার, কিশোর রায়সহ নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে দেশব্যাপী আন্দোলন অব্যাহত রাখা এবং আগামী ২৪ জানুয়ারি গণঅভ্যুত্থান দিবসে এতে পাটকল শ্রমিকদের ভূমিকা বিষয়ে আলোচনা সভার ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিডি-প্রতিদিন/তাফসীর আব্দুল্লাহ