কুমিল্লা নগরীতে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ফরিদ মুন্সী ও পেয়ারা বেগমের একমাত্র মেয়ে আঁখি আক্তার (১৭) মারা গেছেন। সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কলেজছাত্রী আঁখি মারা যান।
গত পাঁচদিন ধরে আঁখি অজ্ঞান ছিল। সে দেবিদ্বার উপজেলার একটি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
সোমবার বিকেলে নিহত ফরিদ মুন্সীর ভাই পল্লী চিকিৎসক আবু তাহের মুন্সী বলেন, সোমবার আঁখি মারা গেছে। আঁখির মরদেহ এখন ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ বাড়িতে আনা হবে।
তিনি আরো জানান, ভাগনে রাকিবুল ইসলামের (২০) সিএনজি অটোরিকশাতে চড়ে জেলার দেবিদ্বার উপজেলার গজারিয়া গ্রামের ফরিদ মুন্সী চিকিৎসার জন্য স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। নগরীর শাসনগাছা রেলক্রসিংয়ে তাদের বহন করা সিএনজি অটোরিকশায় মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় তিনি ও তার স্ত্রী পেয়ারা বেগম নিহত হন। আহত হন তাদের মেয়ে ও ভাগনে। এদিকে ওই দুর্ঘটনায় অপর আহত সিএনজিচালক রাকিবুল ঢামেকের চিকিৎসকদের পরামর্শে বর্তমানে বাড়িতে বিশ্রামে রয়েছেন। তার অবস্থাও তেমন ভালো নয়। রাকিবুলের পুরো শরীর এখনও ফুলে রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন