শিরোনাম
- প্রথমে স্থানীয়, পরে জাতীয় নির্বাচন চায় জামায়াত
- স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে
- শিবচরে ইয়াবা ও ককটেল উদ্ধার
- আ. লীগ নেতার চাঁদা আদায় আড়াল করতে বিএনপির নেতার নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ
- আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
- লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
- বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
- যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
- গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে চুরি হওয়া একটি লেমুর উদ্ধার, গ্রেফতার ১
- গাইবান্ধায় বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন
- এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০
- জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
- অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
- পাহাড়ে জলকেলিতে মাতোয়ারা তরুণ-তরুণীরা
- নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার তাগিদ
- ‘নির্বাচনের আগে সংস্কার ও গণহত্যায় অভিযুক্তদের বিচার চায় জামায়াত’
- মহেশখালীতে অপহৃত ইজিবাইক চালক উদ্ধার
- ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের অভিযান
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৫
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি শিগগিরই
দিহানের ভাইয়ের বিরুদ্ধেও উঠেছিল হত্যার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন

রাজধানীর কলাবাগানে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার ইফতেখার ফারদিন দিহানের (১৮) বড় ভাই সুপ্ত সরকারের বিরুদ্ধেও উঠেছিল হত্যার অভিযোগ। ওই মামলার সাক্ষীরা বলছেন, টাকার বিনিময়ে মামলাটি আপস করেছেন সুপ্তর বাবা।
দিহানরা তিন ভাই। তাদের বাবার নাম আবদুর রউফ সরকার। তিনি রাজশাহী জেলার অবসরপ্রাপ্ত সাব-রেজিস্ট্রার। রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার রাতুগ্রাম গ্রামে তার বাড়ি। তিনি একজন ধর্নাঢ্য ব্যক্তি। বড় ছেলে সুপ্তকে নিয়ে আবদুর রউফ সরকার গ্রামে থাকেন। আর মা সানজিদা সরকার শিল্পীর সঙ্গে দিহান ও তার মেজো ভাই নিলয় ঢাকায় থাকেন। নিলয় একটি ব্যাংকে চাকরি করেন।
দিহানের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুর্গাপুরের রাতুগ্রামের বাড়ি ছাড়াও জেলার বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে তাদের আরও একটি বাড়ি আছে। রাজশাহী শহরেও আছে দুটি বাড়ি। এর একটি সাগরপাড়া এলাকায়। আরেকটি বাড়ি নগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকায়। ঢাকায় আছে ফ্ল্যাট। দিহানের মা শিল্পীও ঢাকায় বেপরোয়া চলাফেরা করেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই দিহান ঢাকায় থাকেন। তাই তার সম্পর্কে গ্রামের মানুষের ধারণা কম। তবে তার বড় ভাই সুপ্ত মাদকাসক্ত। ২০০৯ সালেই তার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল। পরে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সেই মামলার আপস করা হয়। পুলিশ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুপ্তর স্ত্রীর নাম ছিল রুনা খাতুন। তার বাবার বাড়ি কিশোরগঞ্জ। আর নানির বাড়ি রাজশাহী নগরীর হোসনীগঞ্জ মহল্লায়। রাজশাহীতেই সুপ্তর সঙ্গে তার পরিচয়। এরপর বিয়ে। এর কিছুদিন পরই সুপ্ত ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রুনাকে বিষ মুখে ঢেলে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে রুনার মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছিলেন। আর ওই সময় আসামিদের শাস্তির দাবিতে রুনার লাশ নিয়ে রাজশাহী শহরে মিছিলও হয়েছিল।
রুনার নানির বাড়ির এলাকার এক নারী হত্যা মামলার সাক্ষী। শুক্রবার সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিয়ের পর থেকেই রুনাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হতো। শেষে তার মুখে জোর করে বিষ ঢেলে দেওয়া হয়। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুই দিন পর রুনা হাসপাতালে মারা যান। আমরা তার লাশ নিয়ে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করি। আমরা রুনার স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যদের শাস্তির দাবি জানাই। মামলাটা চলছিলই। পরে তারা টাকা দিয়ে মিমাংসা করে নেয়। এরপর পুলিশ মামলার ফাইনাল রিপোর্ট দেয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর