যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণির ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যুবলীগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি সুখী, সমৃদ্ধ, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠন করার স্বপ্ন দেখেছিলেন আমার পিতা, আপনাদের নেতা শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণির ৮৩তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ দুপুরে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ ও উত্তর কর্তৃক আয়োজিত মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
পিতার স্মৃতিচারণ করে পরশ বলেন, আপনাদের নেতা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে চলচ্চিত্রের ওপর পত্রিকা “সাপ্তাহিক সিনেমা” পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এটা বাংলাদেশের প্রথম পত্রিকা যা সিনেমার ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি ছিলেন সংস্কৃতিমনা, তিনি বাংলার সংস্কৃতি, কৃষ্টি কালচারের প্রতি অনুরাগী ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন এবং সেই কারণে তিনি বিশ্বাস করতেন বাংলার সংস্কৃতি বেঁচে থাকবে, বাংলার সংস্কৃতিতে যুবকদের জন্য যুব শক্তি হিসেবে রূপান্তরিত করার জন্য বাংলার সংস্কৃতি বিশেষ করে চলচ্চিত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাবার সাথে আমারও ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন কিছু স্মৃতি আছে। তিনি আমাদের সিনেমা দেখতে নিয়ে যেতেন। বিভিন্ন কালচারাল বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিয়ে যেতেন। আমি মনে করি আমাদের সংস্কৃতি বা চলচ্চিত্রের উন্নয়ন দরকার কারণ এর ভিতরে আমাদের পরিচয় নিহিত রয়েছে।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু শব্দটি এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ছাড়া আমরা স্বাধীনতা কল্পনা করতে পারি না। তার ২৩ বছরের সংগ্রাম, জেল-যুলুম, অত্যাচার আর নির্যাতন সহ্য করে তিনি আমাদেরকে দিক নির্দেশনা দিয়ে বাঙাািল জাতিকে এই বিজয় নিয়ে এসেছিলেন। দেশের স্বাধীনতার জন্য তার যে ত্যাগ তা কোন ভাষায় প্রকাশ বা সংজ্ঞায়িত করা সম্ভব না।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস। ডিসেম্বর মাসকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে ভ্রাম্যমান চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অন্যতম। এছাড়াও রয়েছে শীতবস্ত্র বিতরণ, খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা সভা।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নকে দাবিয়ে রাখার জন্য দেশীয় এবং বিদেশীরা নানা ধরণের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু বাংলার যুব সমাজ, বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপসহীন, সকল ষড়যন্ত্রের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে এগিয়ে যাবে যুবলীগ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, ডা. খালেদ শওকত আলী, শেখ ফজলে ফাহিম, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, ইঞ্জি. মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজ উদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম মাতুব্বর, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মুহাম্মদ বদিউল আলম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. জহুরুল ইসলাম মিল্টন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মোস্তাফিজ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মীর মো. মহি উদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত চৌধুরী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এড. মুক্তা আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক কাজী খালিদ আল মাহমুদ টুকু, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ফজলে রাব্বি স্মরণ, উপ-শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. ফিরোজ আল-আমিন, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্য, সহ-সম্পাদক আবির মাহমুদ, তোফাজ্জল হোসেন তোফায়েল, গোলাম ফেরদৌস ইব্রাহিম, মো. আবদুর রহমান জীবন, নাজমুদ হুদা ওয়ারেছী চঞ্চল, মো. আরিফুল ইসলাম, মো. আলমগীর হোসেন শাহ জয়, মো. বাবলুর রহমান বাবলু, আহতাসামুল হাসান ভূইয়া রুমি, মো. মনিরুজ্জামান পিন্টু, মো. মনিরুল ইসলাম আকাশ, বর্ষন ইসলাম, মোঃ মুজিবুর রহমান, ইঞ্জি. মো. মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, এড. মো. শওকত হায়াত, ইঞ্জি. মো. আসাদুল্লাহ তুষার, মানিক লাল ঘোষ, মো. মোবাশ্বার হোসেন স্বরাজ, মো. মুজিবুর রহমান মুজিব, মো. তারিখ আলম মামুন, ইঞ্জি. মো. শহিদুল ইসলাম সরকার, ডা. মো. আওরঙ্গজেবসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
বিডি প্রতিদিন/এএ