পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষায় প্রথম হয়েও স্থায়ী ঠিকানা নিয়ে জটিলতায় চাকরি না পাওয়া মীম আক্তারের পরিবারকে জমিসহ ঘর দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে খুলনা জেলা প্রশাসন। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মীমের বাবা রবিউল ইসলাম প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন।
জানা যায়, যাদের ঘর নেই জমি নেই, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে তাদের পুনর্বাসন করার সুযোগ আছে। ওই প্রকল্পের আওতায় তাদের ঘর দেয়া হচ্ছে।
খুলনা জেলা পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের ফলাফলে মেধাক্রমে প্রথম হন মিম আকতার। কিন্তু স্থায়ী ঠিকানা জটিলতায় পুলিশ প্রতিবেদন তার বিপক্ষে যায়। যার কারণে চাকরি থেকে বাদ পড়ে যান মিম। তবে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান জানিয়েছিলেন, মেডিকেলের সর্বশেষ পরীক্ষায় মিম আনফিট হয়েছিল এবং স্থায়ী ঠিকানার বিষয়ে তথ্য গোপন করেছে।
মিমের বাবা রবিউল ইসলাম বলেন, খুলনায় আমরা ৩২ বছর বসবাস করছি। আমার স্থায়ী ঠিকানা নেই। রবিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে ফোন করে কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছিল। সোমবার সকালে ডিসি অফিসে কিছু কাগজপত্র দিয়েছি। স্থায়ী বসবাসের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা তৃতীয় ফেজের ১ নম্বর সড়কের ভেতরে ডা. বাবর আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকেন মিমরা। তার বাবা রবিউল ইসলামের বয়রা মেইন রোডে নিউ সততা বেডিং হাউজ নামে তার লেপ-তোষকের একটি দোকান রয়েছে। মা আছিয়া খাতুন গৃহিনী। মিমরা ৪ বোন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর