রংপুরে জানুয়ারি মাস মানেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে। এ অবস্থা চলে আসছে আড়াইদশকের বেশি সময় ধরে। তবে এবার ব্যতিক্রম। রবিবার রংপুরসহ আশপাশ এলাকার তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় তাপমাত্রা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে আবহাওয়া অফিস মনে করছে নদীতে জোয়ার এবং আকাশে মেঘ থাকার কারণে এমনটা হচ্ছে। মেঘ কেটে গেলে শীতের তীব্রতা বাড়বে।
জানা গেছে, গত বছর জানুয়ারির প্রথম দিকে এই অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ থেকে ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসে উঠানামা করেছে। কোনো কোনো এলাকায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। গত বছরের ৪ জানুয়ারি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান রংপুরে সফরে এলে প্রচন্ড শীত ও শৈত্য প্রবাহের কারণে এইঅঞ্চলকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেন। এবারের জানুয়ারিতে শীতের তীব্রতা তেমন নেই বললেই চলে। গত বছর ডিসেম্বরের শেষের দিকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রীতে এলেও এবার ডিসেম্বরের শেষে তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের ওপর।
তবে আবহাওয়া অফিস বলছে তাপমাত্রা কমবে এবং কয়েকদিন পরে শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া অফিসের মতে এসময় এই অঞ্চলে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে তাপমামাত্রা থাকার কথা। কিন্তু তাপমাত্রা এখনো ১০ ডিগ্রীর ওপরে। তবে খুব দ্রুত তাপমাত্রা নিম্নমুখি হবে এমনটাই মনে করছে আবহাওয়া অফিস।
পরিবেশ নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের মতে জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে এবার আবহাওয়া বিচিত্র আচরণ করছে। নদ-নদীতে পানি না থাকা, জীব বৈচিত্র হুমকির মুখে থাকায় আবহাওয়ার এই আচরণ।
রংপুর অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, বেশ কয়েক বছর থেকে জানুয়ারি প্রথমে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রীর নিচে থাকে। এবার একটু ব্যতিক্রম। তেতুলিয়ায় রবিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। রংপুরে ১২ ডিগ্রীর ওপরে। মেঘ কেটে গেলে শীতের প্রকোপ বাড়বে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল