সাভারের বিরুলিয়ার ইউনিয়নের কাকাবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থীর এজেন্টদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট কেড়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই অভিযোগে সাভার উপজেলার বিরুলিয়ার ইউনিয়নের এক ভোট কেন্দ্রে ৪টি বুথে ৫০ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখেন প্রিজাইডিং অফিসার।
আজ বুধবার দুপুরে ১টায় বিরুলিয়ার কাকাবর ২৪নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার লাইলী বেগম বলেন, নৌকার এজেন্টরা আমার কাছ থেকে ব্যালট কেড়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মেরেছেন। আমি নিজে ভোট দিতে পারিনি। এ সময় অপর ভোটার রহিমা বেগমও একই অভিযোগ করেন।
দুপুর ১টায় ওই কেন্দ্র থেকে নাজমা ও মরিয়ম অভিযোগ করেন, তাদের কাছ থেকে ব্যালট নিয়ে নৌকায় সিল মারার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে প্রতিবাদ করায় (নৌকার এজেন্টরা) ব্যালট ফিরিয়ে দিয়েছে। ওই কেন্দ্রে নারীদের কাছ থেকে ব্যালট নিয়ে নৌকায় সিল মারা হচ্ছে। ভয়ে কেউ কিছু বলছে না।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী সেলিম মন্ডল বলেন, কেন্দ্রের ভেতরে কয়েকজন ভোটারের কাছ থেকে ব্যালট নিয়ে নৌকায় সিল মারা হয়েছে। পাশাপাশি জোর করে নারী ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট কেড়ে নৌকায় সিল মারা হচ্ছে। আমি কারো কাছে কোনো সহায়তা পাচ্ছি না। নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেও কোনো সমাধান পাইনি।
তবে, কাকাবর ২৪ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আবু সহিদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ভেতর থেকে নিজ কক্ষের দরজা বন্ধ করে আমার হাত নৌকার ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারতে থাকে। এ বিষয় প্রিজাইডিং অফিসার ফজলুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, হঠাৎ করে বহিরাগতরা বিশৃঙ্খলা শুরু করলে পুলিশ নিয়ন্ত্রণে আনে। তখন নিরাপত্তার জন্য ভোট দেওয়া ৫০ মিনিট বন্ধ থাকে।
তিনি আরও বলেন, ভোটের কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না। বারবার সতর্ক করেও যখন কাজ হয়নি। তখন ভোটগ্রহণ বন্ধ রেখেছি। বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইদুর রহমান সুজনকে আটক করে পরে ৩০ মিনিটি পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। এছাড়াও নৌকার সিল মারা ভোট বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি সুষ্ঠু ভোট গ্রহণে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি ও আনসার বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর