পঞ্চম ধাপের আশুলিয়া ইউপি নির্বাচনে পুলিশ ও প্রশাসনের সামনে ব্যালট ছিনিয়ে নৌকায় ছিল মারার অভিযোগ এনেছেন আনারস প্রতিকে নির্বাচন করা স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজু আহমেদ। শুক্রবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ অভিযোগ তোলেন।
তার অভিযোগ, এতো জাল-জালিয়াতির পরও তিনি ৬৮৫৪ ভোট পেয়েছেন। তার দাবি প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে জোরপূর্বক ব্যালট ছিনিয়ে সিল মারার ঘটনা ঘটেছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হলে রাজু আহমেদ বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন বলেও মন্তব্য করেন।
এসব অনিয়মের খবর পুলিশ ও দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটকে জানিয়েও কোন ফল হয়নি বরং তারা নীরব থেকে কালক্ষেপণ করে সীল মারতে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ তার।
এসময় রাজু আহমেদ আরো অভিযোগ করেন, একজন পুলিশ কর্মকর্তাও ও স্বয়ং প্রিজাইডিং অফিসার হারুনর রশিদকে নৌকায় সীল মারতে দেখেন। সাথে সাথে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানালে তারাও বিষয়টি বিষয়টি এড়িয়ে যান। প্রশাসনের এমন নীরব ভূমিকায় ক্ষুব্ধ রাজু আহমেদসহ সাধারণ ভোটাররা। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করেছে বলেও মন্তব্য করেন রাজু।
সংবাদ সম্মেলনে রাজু আহমেদ দাবি করেন, কোন রকম কালক্ষেপণ ছাড়াই গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বিশ্বাস ধরে রাখার লক্ষ্যে পুনঃনির্বাচন দিতে হবে। শুধুমাত্র পুনঃনির্বাচন দিলেই আশুলিয়ার সাধারণ ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবে এবং নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে আসবে।
এ সময় রাজু আহমেদ অভিযোগ করেন রাতের আধারে তার বাড়িতে ককটেল ফোটানো হয়েছে এবং তাকে এবং তার নেতা কর্মীদের হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এই নির্বাচন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তিনি এবং তার পরিবার চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন বলেও তিনি জানান। ন্যায় বিচারের লক্ষ্যে তিনি আদালতে শরণাপন্ন হবেন বলেও উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের জানান। ভোট জালিয়াতির প্রতিরোধ করতে গেলে সংশ্লিষ্ট ভোট কেন্দ্রগুলোতে নৌকার সমর্থকদের দ্বারা শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন বলেও রাজু আহমেদ অভিযোগ করেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল