রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ভোটারদের কাছে প্রার্থীদের জবাবদিহিতা ততই বাড়ছে। নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছে জনগণের চাহিদা অনেক। পূর্বে নির্বাচিত ব্যক্তি, নির্বাচনে অংশ নেয়া ব্যক্তি এবং এবার প্রথম নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এমন প্রার্থীর কাছে নগরবাসীর অনেক চাওয়া-পাওয়া হিসেবে রয়েছে। সে কারণে বিভিন্ন পন্থায় প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে তাদের পুরনো ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে অস্ত্র হিসেবে ইশতেহারও ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনই একটি জবাবদিহিতা মূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন।
সোমবার দুপুরে পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে জনতার মুখোমুখি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মেয়র প্রার্থী ৯ জনই উপস্থিত থেকে জনতাকে উন্নয়নের আশ্বাসের বাণী শোনান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।
অনুষ্ঠান শেষে ড. বদিউল আলম মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, আইনানুগ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনই হল ক্ষমতা বদলের পথ। নির্বাচনের সাথে আমাদের ভবিষ্যত বংশধরদের স্বার্থ নিহিত রয়েছে। এটি যদি অশান্তির মাধ্যমে, বেআইনী, সহিংহসভাবে হলে তা রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। গতবার রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হয়েছে। আমরা ওই নির্বাচনের প্রশংসা করে নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে অভিনন্দন জানিয়েছিলাম। আমাদের প্রত্যাশা এবারেও নির্বাচনটি যেন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হয়। আশা করি নির্বাচন কমিশন তাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষভাবে পালন করবে। তারা যেন গাইবান্ধার নির্বাচনের মত আচরণ না করে।
তিনি আরও বলেন, সুজন সব সময় দুর্নীতি, অপশাসন, নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা রেখেছে। তাই সরকারী দল এখন আমাদের নানা দোষারোপ করছে। অথচ এই দলই বিরোধী দল থাকাকালীন আমাদের কাজের প্রশংসা করেছিলো। বঙ্গবন্ধু আত্ম নিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দেশ স্বাধীন করেছিলেন। সেই স্বাধীনতার নীতি-আর্দশের মধ্যে আমরা আছি কী না সুজন সেই প্রশ্নগুলো তুলছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর সুজনের সভাপতি অধ্যক্ষ খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু, সুজনের সংগঠক রাজেশ দেসহ অন্যরা।
জনতার মুখোমুখি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রশ্ন-উত্তরে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারি জাপার মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আমিরুজ্জামান পিয়াল, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আবু রায়হান, খেলাফত মজলিসের প্রার্থী তৌহিদুর রহমান মন্ডল, জাসদের প্রার্থী শফিয়ার রহমান, জাকের পার্টির প্রার্থী খোরশেদ আলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান তাদের বক্তব্যে দুর্নীতি মুক্ত পরিকল্পিত নগরী, বেকারদের কর্মসংস্থান, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনসহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন