টানা তিনদিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোথাও কোনো দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়নি। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশের একাধিক টিমকে মহাসড়কে কাজ করতে দেখা গেছে।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড় এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে এমনই চিত্র লক্ষ্য করা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, যানবাহন সংকটের কারণে যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ মহাসড়কে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। এদিকে যাত্রীদের অভিযোগ, বাস কাউন্টারগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। তবে বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করছেন টিকেট কাউন্টার মালিকরা।
তাদের দাবি, সরকারের নির্ধারিত ভাড়াই যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে। তবে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই যাত্রীরা তাদের গন্তব্যস্থলে ছুটছেন। যানবাহন কম থাকায় অনেককেই মাইক্রোবাস চড়ে গন্তব্যস্থলে যেতে দেখা গেছে।
হাফিজুর রহমান নামে এক যাত্রী বলেন, যাত্রী বেশি থাকায় আজও বাস ড্রাইভাররা বেশি ভাড়া নিচ্ছেন। ৩০০ টাকার ভাড়া ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা চাচ্ছে। যেতে তো হবেই তাই বাড়তি ভাড়া দিয়েই গ্রামে যাচ্ছি।
সফিকুর রহমান নামের আরেক যাত্রী জানান, পরিবার নিয়ে ফ্রেনী যাব বলে ৩০ মিনিট ধরে শিমরাইল মোড়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু এখনো বাস শিমরাইল মোড়ে এসে পৌঁছায়নি। কখন নাগাদ বাস আসবে কি জানি। পরিবার নিয়ে দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে এক প্রকার দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি।
বাসচালক আলমগীর হোসেন জানান, প্রত্যেকটি পয়েন্টে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় আমাদের নির্দিষ্ট সময়ে বাস স্ট্যান্ডগুলোতে আসা সম্ভব হচ্ছে না। তবে গতকাল রাতের তুলনায় আজ যাত্রীদের চাপ কিছুটা কম রয়েছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম জানান, টানা ছুটির কারণে মহাসড়কে যাত্রীদের চাপ বেশি আছে। যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে হাইওয়ে পুলিশের ৬-৭ টি টিম মহাসড়কে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। আমরা নির্দিষ্ট কোনো পয়েন্ট ছাড়া বাস থামতে দিচ্ছি না। এখনো পর্যন্ত মহাসড়কের কোথাও কোনো যানজট সৃষ্টি হয়নি বলে জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত