ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবী বলেছেন, আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই, তাদের পতন অনিবার্য। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তারা বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। কোনো ষড়যন্ত্রই আওয়ামী সরকারের পতন ঠেকাতে পারবে না।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিএনপির ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নে ঢাকায় গণমিছিল সফল করার লক্ষ্যে আজ সন্ধ্যায় মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে সকল থানার সাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নবীউল্লাহ নবী বলেন, আওয়ামী জুলুমবাজ সরকারকে মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাদের লুটপাটের কারণে দেশের মানুষ দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়েছে। দ্রব্যমূল্য আজ খেটে খাওয়া মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই সরকারকে হটিয়ে দেশের মানুষকে ভোটের অধিকারসহ গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে হবে। এজন্য দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে রাজপথে থাকতে হবে। দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমেই আওয়ামী সরকারের বিদায়ের ঘণ্টা বাজবে।
তিনি আরও বলেন, গত আন্দোলন সংগ্রামে আওয়ামী সরকারের রোষানলে পরে যারা গ্রেফতার ও নির্যাতিত হয়েছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তাদের মামলা ও আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
দলের নেতাকর্মীদের দিক-নির্দেশনা মূলক বক্তব্য দিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দলের প্রতিটি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে জণগণকে সাথে নিয়ে জনসম্পৃক্ততা তৈরি করে রাজপথে থাকতে হবে। দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রফিকুল আলম মজনু বলেন, সরকারের কোন ষড়যন্ত্রই আন্দোলনের গণজোয়ার ঠেকাতে পারবে না।
মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আ ন ম সাইফুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকারকে হটাতে না পারলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে। এজন্য দলের প্রতিটি নেতাকর্মীদের রাজপথে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়া ছাড়া আমাদের অন্য কোনো বিকল্প নেই।
মতবিনিময় সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আ ন ম সাইফুল ইসলাম, সদস্য মুক্তিযুদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, আনোয়ার পারভেজ বাদল, এম এ হান্নান, আকবর হোসেন ভূইয়া নান্টু, মোহাম্মদ আলী চায়না, ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুল হুদা কাজল, লতিফ উল্লাহ জাফরু, অ্যাডভোকেট ফারুকুল ইসলামসহ বিভিন্ন থানার সাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত