রাজধানীর সন্নিকটে কহরদরীয়া খ্যাত টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আগামী ১৩ জানুয়ারি ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে বিশ্ব তাবলিগ জামাতের বার্ষিক মহাসম্মেলন বিশ্ব ইজতেমা। ইজতেমাকে সামনে রেখে এগিয়ে চলছে সকল প্রস্তুতি।
২০২৩ সালের ১৩ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৫ জানুয়ারি রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব-ইজতেমার প্রথম পর্ব। এরপর চারদিন বিরতি দিয়ে ২০ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। ২২ জানুয়ারি রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমা।
আগত মুসল্লিরা জেলাওয়ারী খিত্তায় অবস্থান করবেন। প্রতিবছরের মতো এবারও উর্দু ভাষায় বয়ান করা হবে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মুসল্লিদের সুবিধার্থে বয়ানের সঙ্গে সঙ্গে বাংলা ও আরবী ভাষায় তর্জমা করা হবে। কহরদরীয়া নদের তীরবর্তী ১৬০ একর জমি বিস্তৃত ময়দানের উত্তর পশ্চিমে তৈরি হচ্ছে বয়ানমঞ্চ। পশ্চিমপ্রান্তে কামাড়পাড়া বিজ্র সংলগ্ন বিদেশি মেহমানদের থাকার ঘর। আগত মুসল্লিদের নদী পারাপারের জন্য থাকবে সেনাবাহিনী কর্তৃক (পল্টুন) ভাসমান সেতু।
ইজতেমা ময়দানের এক মুরব্বি ডা. কাজী সাহাবুদ্দিন বলেন, আগামী ১৩ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৩ সালের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হবে। বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে। এবছর বিশ্বের প্রায় অর্ধশতাধিক দেশের বিদেশি মেহমান আখেরী মোনাজাতে অংশগ্রহণ করবেন। এবারের ইজতেমায় পূর্বের তুলনায় মুসল্লি বেশি হবে।
গাজীপুর সিটি মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) আসাদুর রহমান কিরণ বলেন, আগত মুসল্লিদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়া, পানি ও নিরাপত্তাসহ যাবতীয় বিষয়ে সুশৃঙ্খল রাখতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশানার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, ইজতেমা ময়দানে সার্বিক নিরাপত্তায় সাড়ে সাত হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার এবং বিশেষায়িত টিমসহ প্রতিটি খিত্তায় সাদা পোশাকের বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন।
স্থানীয় এমপি জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ময়দানে আসা মুসল্লিদের সুবিধার্থে বর্তমান সরকার ময়দানের অবকাঠামো উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। সরকারে পক্ষ থেকে মুসল্লিদের সেবায় সবধরনের সহযোগিতা থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই