নবগঠিত রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দেয়ার সময় সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় চার জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলের দিকে জিলা স্কুল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এ কে এম ছায়াদত হোসেন বকুল ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাজেদ আলী বাবুল বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দেয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। পরে দলের সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আহ্বায়কের দায়িত্ব পাওয়ার পর ভারতে চিকিৎসা শেষে এ কে এম ছায়াদত হোসেন বকুল বিকেলে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নামেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান।
পরে মোটরসাইকেল শোডাউন শেষে রংপুর নগরীর কাচারী বাজার বঙ্গবন্ধু চত্বরে যান তিনি। সেখানে এর আগে থেকেই আরও নেতাকর্মীদের উপস্থিত ছিলেন। পরে গাড়ি থেকে নেমে ডিসির মোড়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে গেলে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান দুইটি গ্রুপের উত্তেজনা দেয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে উত্তেজনা থামলে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো শেষে জিলা স্কুল মাঠে জড়ো হয় সকল নেতাকর্মী।
সেখানে বক্তব্য দেয়ার কথা ছিল নবগঠিত জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়কের। সেখানে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। শুরু হয় হাতাহাতি, এক পর্যায়ে গাছের ডাল ভেঙে মারামারিতে জড়িয়ে পরেন নেতাকর্মীরা। এতে আহত হন পীরগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান অভিসহ কয়েকজন। পরে বক্তব্য না দিয়েই আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক গাড়িতে উঠে দলীয় কার্যালয়ে চলে যান। আহত অভিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এ কে এম ছায়াদত হোসেন বকুল বলেন, কি নিয়ে ওদের মধ্যে মারামারি হল বুঝতে পারছি না। এ ঘটনায় একজন আহত হওয়ার কথা শুনেছি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত