রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট না পেয়ে টিসিবির পয়েন্ট অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কামারপাড়া এলাকবাসী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
পরে সন্ধ্যার আগে স্থানীয় অন্য জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় এলাকাবাসী। তবে অভিযুক্ত কাউন্সিলর বলেছেন, এলাকার মানুষ ডিলার ও ট্রাকের চালকের সাথে খারাপ ব্যবহার করায় ওই পয়েন্টে আপাতত টিসিবি’র পণ্য বিক্রি বন্ধ রয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কামারপাড়ায় স্থানীয় কাউন্সিলর প্রার্থী থাকায় এলাকাবাসী নির্বাচিত কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিজুকে ভোট দেননি। এই ক্ষোভে পূর্ব থেকে নির্ধারিত স্থান কামারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে টিসিবির পয়েন্ট নিজ এলাকায় নিয়ে যান কাউন্সিলর। ফলে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ টিসিবির কার্ডধারী ভুক্তভোগী টিসিবির পণ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দুপুরের পরপরই টিসিবির কার্ডধারীরা কামারপাড়া ঢাকা কোচস্ট্যান্ডের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
ভুক্তভোগী শাহিন ইসলাম জানান, টিসিবির পণ্য যে দিন থেকে দেয়া শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই আমরা কামারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কার্ড দিয়ে পণ্য সংগ্রহ করি। কিন্তু এবারে বর্তমান কাউন্সিলর এই এলাকার ভোট না পাওয়ায় টিসিবির পয়েন্ট তার এলাকায় নিয়ে গেছে। এতে করে এলাকার কার্ডধারী যারা, তারা টিসিবির পণ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ওই ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ফেরদৌসি বেগম জানান, আমি বিষয়টি সিটি করপোরেশনের সচিবকে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের সচিব উম্মে ফাতিমা জানান, টিসিবির পণ্য বিতরণের স্পট নির্ধারণ করেন স্থানীয় কাউন্সিলররা। ওই ওয়ার্ডে মূলত দুই কাউন্সিলরের সিদ্ধান্ত নিয়ে মতবিরোধ হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
অভিযুক্ত কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিজু বলেন, ওই এলাকায় টিসিবির পণ্য নিয়ে গেলে স্থানীয়রা ডিলার ও ট্রাক চালকের সাথে খারাপ ব্যবহার করে, এজন্য বাধ্য হয়ে ওই স্থানে টিসিবির পণ্য বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে।
তবে ভোট না দেওয়ার কারণে ওই পয়েন্ট বন্ধ রাখা হয়েছি কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তারা আমার প্রতিপক্ষ, অনেক কিছুই আমার নামে বলতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই