নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, সমুদ্র বিজয়ের পর বিশাল সমুদ্ররাশির সংরক্ষণ, সুনীল অর্থনীতির সুফল অর্জনের জন্য দক্ষ সামুদ্রিক জনশক্তি তৈরীর লক্ষ্যে দেশে প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। ২০১৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিগুলোকে বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অংশীদারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে উন্নীত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এতে করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মেরিন একাডেমিগুলোর গ্রহণযোগ্যতা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে বিশ্বের চাহিদা অনুযায়ী ক্যাডেটরা শুধু প্রশিক্ষিতই হচ্ছে না, দেশে বিদেশে তাদের ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগে দেশে বেকারত্বের সমস্যা দূর হচ্ছে।
মেরিন একাডেমি রংপুর ও পাবনার দ্বিতীয় ব্যাচ ক্যাডেটদের গ্রাজুয়েশন প্যারেড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার দুপুরে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলাস্থ মেরিন একাডেমি প্রাঙ্গণে দুই বছর মেয়াদী প্রি সী ট্রেনিং শিক্ষা নটিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে এতে দুটি প্রতিষ্ঠানের ১৩২ জন ক্যাডেট অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রংপুর মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট ক্যাপ্টেন মো শফিকুল ইসলাম সরকার, পাবনা মেরিন একাডেমি’র কমান্ড্যান্ট (ভারপ্রাপ্ত) ক্যাপ্টেন মো. তৌফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মো. জিয়াউল হকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও অভিভাবকরা।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ক্যাডেটদের সালাম গ্রহন, কুচকাওয়াজ পরির্দশন ও পুরস্কার বিতরণ করেন। এতে কমান্ড্যান্ট গোল্ড মেডেল পেয়েছেন রংপুর মেরিন একাডেমি’র আরাফ ফেরদৌস আপন ও পাবনা মেরিন একাডেমি’র ইমতিয়াজ আহমেদ পরশ, কমান্ড্যান্ট সিলভার মেডেল পেয়েছেন, রংপুর মেরিন একাডেমি’র ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাখাওয়াত হোসেন সৈকত ও নটিক্যাল বিভাগের শেখ আব্দুল্লাহেল শুভ এবং পাবনা মেরিন একাডেমি’র ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সুজন ইসলাম ও নটিক্যাল বিভাগের সাফি বিন আমির।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল