“বিজয়ের পথে, মেডট্রনিক এর সাথে” শ্লোগানে পালিত হলো কার্ডিয়াক ও ডায়াবেটিক বিষয়ক অনলাইন স্বাস্থ্য আলোচনা। বিশ্বের অন্যতম মেডটেক প্রতিষ্ঠান ‘মেডট্রনিক বাংলাদেশ’ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে, কালারস এফ এম ১০১.৬ এর সহযোগী হয়ে বিজয়ের আনন্দঘন দিনটাকে উদযাপন করল এক অনন্য মাত্রায়।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার পথ পরিক্রমা শীর্ষক রেডিও আলাপনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি বিগ্রেডিয়ার (অবঃ) আব্দুল মালিক, ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র সভাপতি প্রফেসর একে আজাদ খান ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এর মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এবং মেডট্রনিক এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারুখ আলম।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি তুলে ধরা হয়। এরপর জাতীয় অধ্যাপক বিগ্রেডিয়ার (অবঃ) আব্দুল মালিকের নিকট থেকে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কার্ডিওলজি সেবা বর্তমানে আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি পেয়েছে। আর কার্ডিওলজি সেবার এ অগ্রগতির সূচনা হয় বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই। ১৯৭৩ সালে তৎকালীন পিজি হাসপাতালে ৮টি করোনারী কেয়ার ইউনিট চালুর মাধ্যমে আধুনিক কার্ডিওলজি সেবার সূত্রপাত ঘটে। পাকিস্তান আমলে কার্ডিওলজি সেবা স্টেথোস্কোপ, ইসিজি ও রেডিওলজি পরীক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো। ডা. আব্দুল মালিকের প্রচেষ্টায় এবং বঙ্গবন্ধুর তত্ত্বাবধানে কার্ডিওলজি সেবার নতুন দ্বার উন্মোচন করা হয়। সম্প্রতি ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব ইভারকেশনের এনজিওপ্লাস্টি প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি দল প্রথম স্থান অধিকার বলে উল্লেখ করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ডা. আব্দুল মালিক।
ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর সভাপতি প্রফেসর এ কে আজাদ খান বলেন, বারডেমই পৃথিবীর একমাত্র ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন যারা এত বৃহত্তর পরিবেশে ডায়াবেটিস সেবা প্রদান করে আসছে। বর্তমানে বারডেম টাইপ-১ ডেডিকেটেড ইনসুলিন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছে। ডা. আজাদ খান বাংলাদেশে ডায়াবেটিস চিকিৎসায় মেডট্রনিক এর অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি উল্লেখ করেন, মেডট্রনিক সর্বপ্রথম ইনসুলিন পাম্প উদ্ভাবন করে। বর্তমানে অনেক কোম্পানি এই পাম্প উৎপাদন করছে। কিন্তু পৃথিবীতে মেডট্রনিক কর্তৃক উদ্ভাবিত পাম্পটিই সবচেয়ে বেশি কার্যকরী এবং সবচেয়ে আনন্দের খবর হলো মেডট্রনিক বাংলাদেশে বিশেষ দামে এই পাম্পের সরবরাহ করে আসছে।
এছাড়াও মেডট্রনিক এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারুখ আলম লাইভ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে মেডট্রনিক এর অবদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মেডট্রনিক পৃথিবীর বড় বড় মেডিকেল মেশিনারীজ উৎপাদকের মধ্যে প্রথম সারির একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৩ সাল থেকেই মেডট্রনিক বাংলাদেশে বিভিন্ন মেডিকেল যন্ত্র সাপ্লাই করে আসছে। ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে সরাসরি কাজ করছে।
“বিজয়ের পথে, মেডট্রনিক এর সাথে” স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক এই অনুষ্ঠানে ধারনকৃত বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। শুরুতেই বিজয়ের ৪৯ তম বছরের শুভেচ্ছা জানান তিনি। মেয়র করোনা মহামারীর প্রেক্ষাপটে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিদ্যমান কার্যক্রমগুলো তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানটি কালারস এফ এম- এর ফেসবুক পেইজ এ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আর জে আশা আমান এবং পরিকল্পনা সহায়ক ছিলেন, ব্র্যান্ড কনসালটেন্সী প্রতিষ্ঠান রূপ আর সামগ্রিক অনুষ্ঠানের সমন্বয় করেন মেডট্রনিক এর কম্যুনিকেশন স্পেশালিস্ট তুহিনূর সুলতানা। মেডট্রনিক বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড এর সৌজন্যে এ অনুষ্ঠানটিতে অফলাইন ও অনলাইন শ্রোতাকে, রূপান্তরিত স্বাস্থ্যসেবার পালাবদলের চিত্র পরিবেশন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল