বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষ্যে ইউনাইটেড হাসপাতাল রেনাল কেয়ার সেন্টার কিডনি রোগীদের নিয়ে ‘কিডনি রোগ নিয়ে ভালো থাকা’ - শিরোনামে পেশেন্ট ফোরাম আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে কিডনি রোগী ও তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন, যাদের বক্তব্যে তাদের সুশৃঙ্খল ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের গল্প ফুটে ওঠে। দেশে প্রতি বছর প্রায় ৪০ হাজার মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়। কিডনি রোগ এক নীরব ঘাতক। কিডনি রোগে চলিশোর্ধ মানুষের ঝুঁকি অনেক বেশি।
কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট হওয়া রোগী উম্মে সালমার কন্ঠে কিডনি যুদ্ধে তার মায়ের সহযোগী ভূমিকা উঠে আসে। তিনি বলেন, আমার মা একজন হিরো। আমার মা আমাকে কিডনি দিয়ে আমার জীবন বাঁচিয়ে রেখেছেন। তাকে ডাক্তাররাই সাহস যুগিয়েছেন কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে। যারা ভয় পান, তারা ডাক্তারদের সাথে পরামর্শ করুন। আমি সৌভাগ্যবান যে দেশে ট্রান্সপ্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঠিক আগেই দেশে আমার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হয়। অনেকেই আছে যাদের পক্ষে বিদেশে গিয়ে ট্রান্সপ্ল্যান্ট করানো অনেক ব্যয়বহুল। তাই দেশে আবার ট্রান্সপ্ল্যান্ট শুরু করা উচিৎ।
‘কিডনি রোগ নিয়ে ভালো থাকা’ বিশ্ব কিডনি দিবসের এই স্লোগানে কিডনি রোগ নিয়েও যে ভালো থাকা যায়, এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে অনুষ্ঠানে ইউনাইটেড হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার জনাব মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান বক্তব্য রাখেন। তিনি কিডনি চিকিৎসায় এই হসপিটালের সর্বাত্মক আন্তরিক প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
কিডনি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. নুরুল ইসলাম, ডা. তানভীর বিন লতিফ ও ডা. তানিয়া মাহবুব তাদের চিকিৎসক ও সহকর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড হসপিটালের ডিরেক্টর, কমিউনিকেশন এন্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডা. শাগুফা আনোয়ার।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন