বাংলাদেশে প্রথম ইউনাইটেড হসপিটালে ক্যান্সার রোগীকে সফলভাবে ক্রোনোমডুলেটেড কেমোথেরাপী প্রয়োগ অতি সম্প্রতি ইউনাইটেড হসপিটালে একজন কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে ক্রানোমডুলেটেড কেমোথেরাপী কোর্স সফলভাবে প্রদান করে, কোন প্রতিক্রিয়া ছাড়াই সম্পন্ন করা হয়েছে কেমোথেরাপীর এই নতুন চিকিৎসা প্রদ্ধতি বাংলাদেশে প্রথম।
মস্তিষ্কে বেশ কিছু জিন আছে যা সকল শারীরিক কার্যকলাপের সময় নির্ধারণ করে, এমনকি ক্যান্সার কোষের বিভাজন ও বিশ্রামের সময়ও ঠিক করা থাকে দিনের যে কোন সময়ানুযায়ী। ক্রোনোমডুলেটেড কেমোথেরাপী বা সময়-নিয়ন্ত্রিত কেমোথেরাপীতে ক্যান্সার রোগীদের একটি নির্দষ্ট সময়ে কেমোথেরাপী ঔষধ প্রদান করা হয় যখন ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলোর বিভাজন হয়, যার ফলে ক্যান্সার কোষগুলোকে তখন মেরে ফেলা সহজতর হয়।
এছাড়াও এই সময় বুঝে কেমোথেরাপী দিলে, শরীরের সুস্থ কোষকলা গুলোর জন্যও উপকার হয়। কেননা সেগুলো তখন বিশ্রামে থাকায়, তারা কেমোথেরাপী ঔষধের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার প্রতি সবচেয়ে কম সংবেদনশীল থাকে।
ডা. অসীম কুমার সেনগুপ্ত, ইউনাইটেড হসপিটালের কনসালটেন্ট অনকোলজী এ ব্যাপারে বলেন, এই বিশেষ ধরণের কেমোথেরাপীতে চিকিৎসার প্রতি সহনশীলতা বাড়ে ফলে চিকিৎসার কার্যকারিতা বাড়ে এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ রাখার সম্ভবনাও বাড়ে।
যে সব ক্যান্সার রোগীর পূর্বে কেমোথেরাপী প্রটোকল চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি, অকার্যকরী বা অসহনীয় চিকিৎসার কারণে, তারাও এই পদ্ধতিতে কেমোথেরাপী নিতে পারেন। বিশেষ করে ছড়িয়ে পড়া (মেটাস্টাটিক) কোলন ক্যান্সার বা ওভারিয়ান ক্যান্সারে দেখা গেছে, সময়-নিয়ন্ত্রিত কেমোথেরাপীতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অর্ধেকে কমে আসে ও চিকিৎসার কার্যকারিতা দ্বিগুন বেড়ে যায়।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর