তাওফিকা ফুডস অ্যান্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রথম ইজিএম অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইজিএম-এ শেয়ারহোল্ডাররা তাওফিকা ফুডস অ্যান্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নাম পরিবর্তন করে ‘তাওফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসি’-তে সংশোধনের অনুমোদন দিয়েছে।
তাওফিকা ফুডস ২০১৬ সাল থেকে ‘লাভেলো’ ব্র্যান্ড নামে আইসক্রিম তৈরি ও বিপণন করছে, যা বর্তমানে দেশে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় আইসক্রিম ব্র্যান্ড। একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯ সালে ৮ জুলাই পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়।
২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর আইপিও-র জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদনের পরে প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ডিএসই এবং সিএসইতে ‘এন’ ক্যাটাগরিতে ‘তাওফিকা’ নামে শেয়ার লেনদেন শুরু করে।
আইসক্রিম ব্র্যান্ড ‘লাভেলো’ অল্প সময়ের ব্যবধানে দেশের আইসক্রিম শিল্পে একটি শক্তিশালী অবস্থান অর্জন করেছে। ব্যবসায়ীক কৌশল এবং পণ্যের গুণগত মানের কারণে এখন লাভেলো বাজারে সর্বাধিক চাহিদার আইসক্রিম। তবে শেয়ারবাজারে যেহেতু প্রতিষ্ঠানটি কেবল ‘তাওফিকা’ নামে তালিকাভুক্ত আছে, তাই সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির নামের সাথে বিখ্যাত লাভেলো ব্র্যান্ডটির কোনো সংযোগ খুঁজে পাননি।
প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকারীরা যাতে সহজেই প্রতিষ্ঠানটির পরিচিতি এবং সম্ভাবনা বুঝতে পারেন সেজন্য ইজিএম-এ প্রতিষ্ঠানের বর্তমান নামটি ‘তাওফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসি’-তে সংশোধন করা হয়েছে, যাতে এর ট্রেড কোডটি ‘তাওফিকার’ পরিবর্তে ‘লাভেলো’ হয়।
প্রতিষ্ঠানটি ব্যাবসায়ীক কৌশলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তার বিতরণ এবং আনুষঙ্গিক সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে এবং আইসক্রিম শিল্পে মার্কেট শেয়ারের পাশাপাশি ব্যবসার আয়তন বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে প্রত্যাশা করছে।
ইজিএম-এ সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান দাতিন শামীমা নার্গিস হক। প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তনের বিষয়টি উল্লেখ্য করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক দাতো ইঞ্জিনিয়ার মো. একরামুল হক বলেছেন, ‘শেয়ার বাজারে পুরানো নামটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভ্রান্তিকর ছিল। তারা বুঝতে পারেনি যে এটি সেই প্রতিষ্ঠান যা বিখ্যাত লাভেলো আইসক্রিম তৈরি এবং বিপণন করে। নতুন নাম ‘তাওফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসি’ কোম্পানির সাথে লাভেলো আইসক্রিম সম্পর্কিত বিভ্রান্তি দূর করবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, লাভেলো ব্র্যান্ড নামটি শেয়ারবাজারে সত্যিকার অর্থে কোম্পানির সম্ভাবনা প্রতিনিধিত্ব করে।’ তিনি আরও বলেন যে, লাভোলো আগামী ৫ বছরের মধ্যে একটি ব্লু চিপ কোম্পানি হওয়ার লক্ষ্য এগিয়ে যাবে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. কাওসার আহমেদ, স্বতন্ত্র পরিচালক মি. ইমতিয়াজ লুৎফুল বাসেত এবং প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা। কোম্পানির সচিব এ কে এম জাকারিয়া হোসেন সভা পরিচালনা করেন। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনেক শেয়ারহোল্ডার বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন এবং ইতিবাচক মন্তব্যসহ এজেন্ডার পক্ষে তাদের সম্মতি দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই