স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমাদের সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে বলেই আমরা আদালতের উপর কোন দিনই হস্তক্ষেপ করিনি। এমনকি তিনি (শেখ হাসিনা) প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, জেল হত্যার বিচার হয়েছে, সামান্যতম আমরা হস্তক্ষেপ করিনি। যে কারণে ট্রাইব্যুনালে বিচার করেনি, সাধারণ আদালতে বিচার হয়েছে।
তিনি আজ বিকেলে গাজীপুরের কাপসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাঙ্গনে ‘ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারপরিকল্পনা কেন্দ্রে (সার্বক্ষণিক) স্বাভাবিক প্রসবসেবা জোরদারকরণ বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা এবং সৈয়দা জোহর তাজউদ্দীন মা ও শিশু কার্ড ও স্মার্ট এমসিএইচ সার্ভিস মেনেজমেন্ট সফটওয়ার কার্যক্রমের অগ্রগতি অবহিতকরণ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ক্যু করার তো প্রশ্নই ওঠে না। বরঞ্চ যারা এ কথা বলছে, তারাই কিন্তু ক্যু করার চেষ্টা করেছিল। জুডিশিয়াল ক্যু করার চেষ্টা করেছিল, ব্যর্থ হয়ে গেছে তারা। এ কারণেই তারা এ কথাটি বলছে। দ্বিতীয় কথাটি হচ্ছে আদালতের ব্যাপার আদালত সিদ্ধান্ত নেবে কার বিচার হবে? কার শাস্তি হবে? কে নির্দোষ হবে সেটা আদালতের ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমরা চিন্তা করি না, ভাবনা করিনা। হস্তক্ষেপ করার প্রশ্নই ওঠে না। যদি কেউ নির্দোষ প্রমাণ হয়, নির্দোষ প্রমাণ হবে। এটা আদালতের ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমাদের কোন ধরণের চিন্তা ভাবনা নাই। এ ধরণের চিন্তা ভাবনা আমরা করি না। ওরা করতে পারে, যারা এ কথাগুলো বলে। তাদের মাথায় সব সময় ষড়যন্ত্রের কথা ঘোরপাক খায়। তারা ষড়যন্ত্রের গন্ধ পায় সব ক্ষেত্রে। জুডিসিয়াল ক্যু তো তারা করতে চেয়েছিল একজন সাবেক বিচারপতিকে সামনে রেখে। তারা ব্যর্থ হয়েছে, জনগণ ও আদালত সচেতন ছিল বলে এটা করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য আরো রাখেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. কাজী মোস্তফা সারোয়ার, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মো. হুমায়ুন কবীর, কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. রেজাউর লস্কর মিঠু, কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন প্রধান প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার