‘আমি সংবাদপত্রে নিউজ চাই না। আমার স্বামীকে ফিরে পেতে চাই। আপনারা আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিন প্লিজ। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে’। কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলেছেন খুলনায় নিখোঁজ যুবলীগ নেতা সবুজের স্ত্রী বৈশাখী বেগম (২৮)। আজ বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পৃষ্ঠায় ‘খুলনায় যুবলীগ নেতা নিখোঁজ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি পড়ার পরে তিনি এভাবে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
এক সন্তানের মা বৈশাখী বেগম বলেন, সবুজ কখনোই রনির সাথে কোথাও যায়না। ওইদিন কেন গেল কোথায় গেল তা রনিই ভালো জানবে।
বৈশাখী একের পর এক প্রশ্ন করে বলেন, ‘আমার স্বামীকে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) সার্ভেয়র ‘রনি মামা’ সাথে করে নিয়ে গেছেন। আমি এই ঘটনার জন্য রনি মামাকেই সন্দেহ করছি। সেই ষড়যন্ত্র করে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। আপনারা রনিকে ভালো করে জিজ্ঞাসাবাদ করুন’। এটুকু বলার পরে বৈশাখীর কণ্ঠে আর কোন কথা উচ্চারিত হয়নি। শোনাগেছে শুধু কান্নার শব্দ।
প্রসংগত, গত শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মোরেলগঞ্জের পানগুছি নদীতে নিখোঁজ হন খুলনার শেখপাড়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মকর্তা জামান হোসেনের ছেলে কামরুজ্জামান সবুজ। ওইদিন সে তার প্রতিবেশী বন্ধু সার্ভেয়র রনির সাথে একটি সাইট পরিদর্শনে যাচ্ছিলো!
এদিকে এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া পিরোজপুরের পাড়েরহাট গ্রামের হাসান ওরফে অহিদুজ্জামান পরশ (৩০), হাফিজ হাওলাদার (২০), সাইফুল ইসলাম রানা (২০), হাফিজুল ইসলাম (৩০), হাসিবুল (১৭), মাহমুদ (১৮) ও হাসিবকে (১৯) রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে কোর্টে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
এই মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা খুলনা সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই জেল্লাল হোসেন বলেন, আসামিদের রিমান্ডের শুনানির জন্য কাল বুধবার দিন ধার্য আছে। রিমান্ডে পেলেই জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনার নেপথ্য কাহিনী উদঘাটন করা যাবে। মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সবুজের স্বজনরা মঙ্গলবারও পানগুছি নদীতে সবুজের লাশের সন্ধানে দিনভর টহল দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/২৬ ডিসেম্বর ২০১৭/হিমেল