সান্তাল জনগোষ্ঠী নিজস্ব বর্ণমালা সংক্রান্ত বিতর্ক শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলা বর্ণমালাতেই সান্তাল শিশুদের লেখা-পড়া চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন দিনাজপুরসহ রংপুর বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা। আজ দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত 'বিভিন্ন নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠীর শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন বিষয়ক' বিভাগীয় পর্যায়ের মত বিনিময় সভায় এই অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
রংপুর বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও শাপলা নীড় বাংলাদেশের সহযোগিতায় এবং দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র-জিবিকের আওয়ার স্কুল ফর এথনিক চিল্ড্রেন প্রকল্পের উদ্যোগে জেলা এফপিএবি মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস এম তৌফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সমীর চন্দ্র মজুমদার, দিনাজপুর জেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সাইফুজ্জামান, জিবিকের হেড অব স্যোসাল এন্ড ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট ভূপেশ রায় প্রমুখ।
মত বিনিময় সভা পরিচালনা করেন, প্রকল্প কর্মকর্তা লাকী মারান্ডী। সভায় বিভিন্ন উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও এসএমসি সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস এম তৌফিকুজ্জামান বলেন, সরকার বাংলাদেশকে শতভাগ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চায়। নৃতাত্বিক শিশুদের বাদ দিয়ে এই লক্ষ্য অর্জিত হবে না বিধায় সরকার এই জনগোষ্ঠীর শিশুদের তাদের মাতৃভাষায় শিক্ষা দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যা নতুন বছরের শুরু থেকে কার্যকর হবে। ৫টি নৃতাত্বিক ভাষায় ইতোমধ্যে বই ছাপা হয়েছে। কিন্তু সান্তাল জনগোষ্ঠীর মধ্যে বর্ণমালা সংক্রান্ত বিতর্কের কারণে তাদের মাতৃভাষায় সরকার বই ছাপাতে পারেনি। এমতাবস্থায় বাংলা বর্ণমালাতেই সান্তাল শিশুদের শিক্ষা দানের ব্যবস্থা চালিয়ে যেতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার