সামিয়ানা টানানো দেখে অনেকেই প্রথমে ভাবেবেন, এটি হয়তো কোন বিয়ের অনুষ্ঠান। অথচ এটি কোন বিয়ে বা অনুষ্ঠানের জন্যে নয়। এর নিচেই চলছে ভোট গ্রহন। পাবনার চাটমোহর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের শাপলা ক্লাব (সংঘ) চত্বরে দীর্ঘদিন ধরে ভোট গ্রহন হয়ে থাকে।
এই ওয়ার্ড এলাকায় কোন স্কুল, কলেজ বা প্রতিষ্ঠান না থাকায় একটি ক্লাব ঘরের অঙিনায় তাঁবু টাঙিয়ে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে কর্তৃপক্ষ। এতে করে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের যেমন অসুবিধা হয়, অন্যদিকে রাস্তার উপর লাইন করে নারী-পরুষ ভোটাররা দাঁড়ানোর ফলে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়ে লোকজনের চলাচলে অসুবিধা হয়।
প্রথম ধাপে গতকাল রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হয় পাবনার চাটমোহর পৌরসভার নির্বাচন, ভোটগ্রহণ হয় ইভিএমে। সকাল আটটা থেকে চাটমোহর পৌরসভার ৯টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত।
শাপলা সংঘ ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার চাটমোহর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মগরেব আলী জানান, শাপলা সংঘের সামনে সামিয়ানা টাঙিয়ে পুরুষের ২টি এবং নারীদের জন্য দু’টি বুথ করা হয়েছে কাপড়ের সামিয়ানার মাধ্যমে পার্টিশান দিয়ে। এই কেন্দ্রে ৫ জন পুলিশ, ১০ জন আনসারসহ ৮ জন নির্বাচনী কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের সমস্যার শেষ নেই। রাতে ইভিএম মেশিন রাখার কোনো জায়গা নেই। প্রচন্ড শীতে ১০ জন আনসার সদস্য সারারাত জেগে নির্বাচনের ইভিএম মেশিন পাহারা দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, এই কেন্দ্রে ৪টি বুথে ৯৭৫ জন ভোটার রয়েছেন। তাদের দাঁড়ানোর জায়গা নেই। নির্বাচনী কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো নিরাপত্তা নেই। কিভাবে এমন জায়গাকে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়?
চাটমোহর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং রিটানিং অফিসার আলমগীর হোসেন বলেন, এই এলাকায় তেমন কোনো জায়গা না থাকায় এখানে তাঁবু টানিয়ে ভোটকেন্দ্র বানানো হয়েছে। দীর্ঘ ১৯-২০ বছর ধরে মানুষজন এভাবেই ভোট দিয়ে আসছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ