ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি ও প্রসূতি রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় নারী রোগীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এছাড়া অ্যানেসথেশিয়া বা অজ্ঞান করার নারী চিকিৎসকের প্রয়োজন থাকলেও সে পদে কোনো চিকিৎসকই নেই।
প্রায় ৪০ বছর পর গত ২৩ নভেম্বর হাসপাতালটিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশিদুজ্জামান খান ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. প্রাণেশ চন্দ্র পণ্ডিতের নেতৃত্বে তারাকান্দার একজন প্রসূতির ফ্রি সিজারের মাধ্যমে প্রথম অপারেশন থিয়েটার চালু করা হয়। হাসপাতালে অপারেশনের সকল সরঞ্জামাদি মজুদ থাকলেও ফুলপুর ও তারাকান্দা উপজেলায় প্রায় ৭ লাখ মানুষের অর্ধেকের বেশি নারীর জন্য নেই কোনো গাইনি ও প্রসূতি রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
আমুয়াকান্দা গ্রামের ভুক্তভোগী মাহফুজ বলেন, ফুলপুর হাসপাতালে ফ্রি সিজার চালু হয়েছে জেনে আমার ভাবী সানজিদা খাতুনকে নিয়ে আসছিলাম। কিন্তু গাইনি ও প্রসূতি রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় ভোগান্তির মধ্যে পড়ি। অবশেষে রোগীকে বাঁচাতে বেসরকারি হাসপাতালে ১০ হাজার টাকা খরচ করে সিজার করাতে হয়েছে। যদি সরকারি হাসপাতালে করাতে পারতাম তবে আমাদের এত টাকা লাগতো না।
বওলা গ্রামের মোশাররফ বলেন, ফুলপুর হাসপাতালে গাইনি ও প্রসূতি রোগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় গরিব ও অসহায় রোগীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাছাড়া ময়মনসিংহ নিতে নিতে অনেক রোগী মারা যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশিদুজ্জামান খান বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব আমাদের দীর্ঘদিনের। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই পদে চিকিৎসক দেওয়া হবে বলে তারা আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন