সরকার ঘরহীন মানুষের জন্য বিনামূল্যে ঘর তৈরি করে দেয়ার যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, তা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু যখন ঘর তৈরির কর্মসূচিকে ঘিরে প্রতারণা, জালিয়াতি, অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়ে থাকে তখন বঞ্চিত হয় সেবা প্রার্থীরা। কিন্তু বগুড়ার কাহালুতে সরকারি ঘর বরাদ্দের নামে অভিযোগ উঠেছে অনিয়ম ও দুর্নীতির।
উপজেলার কালাই ইউনিয়নের ঘরহীন গরীব মানুষেরা এ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা শামীম খন্দকারের বিরুদ্ধে। শামীম খন্দকার বগুড়ার কাহালু উপজেলার কালাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কালাই ঘোনপাড়া গ্রামের মহিউল ইসলামের ছেলে।
রবিবার বগুড়া জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। তারা লিখিত অভিযোগে জানান, আওয়ামী লীগ নেতা শামীম খন্দকার ও তার সহযোগী পিলকুঞ্জ ফকিরপাড়ার তোজাম্মেল হোসেন ইউনিয়নের প্রায় ৫০-৮০ জন গরীব অসহায় ব্যক্তির কাছ থেকে সরকারি ঘর বরাদ্দের নাম করে মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে প্রত্যকের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা প্রতি ঘর বাবদ খরচ হবে মর্মে প্রাথমিক খরচ হিসাবে ৫০০০-১০০০০ হাজার টাকা অগ্রীম হাতিয়ে নেয়। এখনো কেউ সরকারি ঘর বরাদ্দ পায়নি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শামীম খন্দকার জানান, এসব তথ্য সঠিক না। তার বিষয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা প্রদানের পর থেকে স্থানীয় কিছু অসাধুচক্র তার বিরুদ্ধে এমন বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তাকে হেয় করে নির্বাচনে ফায়দা লুটতে চাইছে প্রতিপক্ষরা। বগুড়ার কাহালু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাছুদুর রহমান জানান, এমন বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক