ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যাত্রীবেশী ডাকাত দলের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার ও তাদের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার জব্দ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
তারা হলেন- সোহেল রানা (৩৬), মিজান (৩৩), সাবাস (৩২), রফিকুল ইসলাম (৩২)। তাদের ঢাকার মিরপুর, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর ও গাজীপুরের টঙ্গী থেকে পৃথক অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা, গাজীপুর, মিরপুর ও টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যাত্রী সেজে দীর্ঘদিন যাবত ডাকাতি করে আসছিল।
টাঙ্গাইল পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমিন বুধবার সকালে টাঙ্গাইল পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, পাবনা জেলার সাথিয়া তাঁতীপাড়া গ্রামের মাহতাব হোসেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া বাইপাসে গত ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ি যাওয়ার জন্য গাড়ি অপেক্ষা করছিল। এ সময় একটি সিলভার কালারের প্রাইভেটকার এসে থামে এবং ড্রাইভার মাহতাবকে জিজ্ঞাসা করে কোথায় যাবেন। মাহতাব ১৫০ টাকায় সিরাজগঞ্জ নেয়ার জন্য প্রাইভেটকারের পিছনের সিটে বসতে বলে আরও দুইজন যাত্রী উঠায়।
পথিমধ্যে ওই যাত্রীবেশী ডাকাতদল মাহতাবের হাত পা বেঁধে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে মাহতাবের বাবার কাছ থেকে আরও ২৪ হাজার টাকা বিকাশে আনার জন্য চাপ দেয়। পরে যাত্রীবেশী ডাকাতদল প্রাইভেটকার ঘুরিয়ে মির্জাপুরের কাছে এসে বিকাশ থেকে টাকা উত্তোলন করে মাহতাবকে কালিয়াকৈর এলাকায় নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
এছাড়াও একই ডাকাতদল গত ২৪ ডিসেম্বর মহাসড়কের নাটিয়া পাড়া বাসস্ট্যান্ড হতে মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক মো. বেলাল হোসেনকেও একই কায়দায় প্রাইভেটকারে উঠিয়ে মারধরসহ খুন জখমের ভয় দেখিয়ে নগদ ৪৪ হাজার টাকা ও বিকাশের মাধ্যমে আরও ২০ হাজার টাকা নিয়ে নেয় ডাকাতদল। পরে দুইটি বিষয় নিয়েই টাঙ্গাইল পিবিআই তদন্তে নামেন। তদন্তের শেষে ঢাকা মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা ঢাকার গাবতলি থেকে শুরু করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক হয়ে উত্তরবঙ্গের পাবনা পর্যন্ত তারা যাত্রী সেজে ডাকাতি করে থাকে। গ্রেফতারকৃতদের আজ বুধবার বিকেলে টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চাইবে পিবিআই।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর