বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে ৪র্থ শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলো উপজেলার চককানু গ্রামের খাইরুল ইসলামের ছেলে মোর্শেদুল ইসলাম (২০) ও একই গ্রামের শাকিরুল ইসলামের ছেলে জিয়াউর রহমান (১৫)।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানায়, উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের চককানু গ্রামের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীর বাবা ও মা টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় একটি ইটভাটায় কাজ করেন। মেয়েটি তার দাদীর সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে থাকে। তার দাদী বাড়ির পাশে একটি মুদি দোকানে থাকেন।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে স্কুলছাত্রী ওই মুদি দোকান থেকে বাড়িতে যাওয়ার সময় একই গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে বাবু প্রামানিকসহ (২৩) আরও দুইজন তার পথরোধ করে মুখ চেপে ধরে তুলে নিয়ে যায়। পরে পাশের একটি ড্রেনের পাড়ে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এসময় ওই ছাত্রী চিৎকার করে দৌড়ে পালিয়ে বাড়িতে যায়। বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানালে পরিবারের লোকজন রাতেই বখাটে বাবু পালানোর সময় তাকে আটক করে। পরে বাবুর পরিবারের লোকজন তাকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
বগুড়ার শিবগঞ্জ থানা ওসি এসএম বদিউজ্জামান বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে মামলা নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ২ জন কে আটক করা হয়েছে। মামলার ১নং আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন