বগুড়ার নন্দীগ্রামে আনোয়ার হোসেন বুলু (৩৮) নামে এক যুবককে তার সহযোগীরা মদ্যপ অবস্থায় ট্রাকের নিচে ফেলে হত্যা করেছে অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার গভীর রাতে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে নন্দীগ্রাম উপজেলার তেঘরী নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বুলু নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার জাতআমরুল গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে। এ ঘটনায় দুই সহযোগী আরিফুল ইসলাম ও ইসলাম হোসেনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে নিহতের পরিবার।
জানা গেছে, বুলু ও তার ৭ জন বন্ধু শনিবার রাতে মাইক্রোবাস যোগে আত্রাই থেকে বগুড়া শহরে একটি হোটেলে আসেন। সেখানে সবাই মিলে মদ্যপান করে মাইক্রোবাসযোগে বগুড়া-নাটোর সড়ক হয়ে আত্রাই এর উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে নন্দীগ্রামের তেঘরী নামক স্থানে মাইক্রোবাসে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয় তাদের। এসময় বুলু মাইক্রোবাস থামিয়ে সড়কে নেমে তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করে। একপর্যায় তার সহযোগীরা বুলুকে ধাক্কা দিয়ে চলন্ত ট্রাকের নিচে ফেলে দেয়।
এতে ট্রাকচাপায় বুলু ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে তার সহযোগীরা বুলুর মরদেহ মাইক্রোবাসে তুলে আত্রাই নিয়ে যান। সেখানে ৫ জন নিজ নিজ বাড়িতে চলে যান এবং আরিফুল ও ইসলাম নামের দুইজন বুলুর মরদেহ বাড়িতে পৌঁছে দিতে গেলে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হওয়ায় তাদের আটক করে। রবিবার সকালে তাদেরকে নন্দীগ্রাম থানায় সোপর্দ করা হয়।
নিহত বুলুর ভাই মাজাহারুল ইসলাম বলেন, তাদের নিজস্ব মাইক্রোবাস বুলু চালাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনায় মারা গেলে মাইক্রোবাস ক্ষতিগ্রস্ত হতো। তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, নিহতের পরিবার যাদেরকে থানায় সোপর্দ করেছে তাদেরকে মামলায় সাক্ষী করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা