ফেনীর ফুলগাজীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ছালেহ আহম্মদ (৮০) নামে এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ।
গত ২৪ ডিসেম্বর ফুলগাজী উপজেলার দক্ষিণ আনন্দপুরের বক্স আলী ভূঞা বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এদিকে, পুলিশের গাফিলতির কারণে মৃত্যুর ৩৮ ঘণ্টা পর বাবার লাশ বুঝে পেয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের ছেলে কবির আহম্মদ। তিনি জানান, গত ২৪ ডিসেম্বর তাদের জমিতে প্রতিপক্ষ শাহজালাল, আলী হোসেন, আব্দুর রউফ, কামাল, কামরুল হাসান, আজিম উদ্দিন ও লালয়া আক্তার জোর করে জাল বাঁধার সময় তারা বাধা দেন। এসময় তারা ছালেহ আহম্মদ, তার বড় ছেলে সোহরাব হোসেন ও তাদের পরিবারের নারীসহ পাঁচজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। আহতদের মধ্যে ছালেহ আহম্মদ ও সোহরাব হোসেনকে প্রথমে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গত রবিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃদ্ধ ছালেহ আহম্মদ হাসপাতালে মারা যান।
কবির আহম্মদ জানান, তার বাবার মৃত্যুর পর একদিন পার হয়ে গেলেও পুলিশের অসহযোগিতার কারণে লাশের ময়নাতদন্ত হয়নি। ৩৮ ঘণ্টা পর ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার দুপুর তিনটার দিকে তার লাশ পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এই ব্যাপারে ফুলগাজী থানায় ২৫ ডিসেম্বর সাতজনের নাম উল্লেখ করে কবির আহম্মদ একটি মামলা দায়ের করেন। এ পর্যন্ত একজন আসামিকেও আটক করা হয়নি বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে ফুলগাজী মডেল থানার ওসিকে ঘণ্টা খানেক ফোন করার পরও তা বন্ধ পাওয়া যায়। ফেনীর পুলিশ সুপারকে বারবার ফোন করার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ইকবাল হোসেন জানান, সুরতহালের কাগজ আসতে দেরি হওয়ায় ময়নাতদন্ত করতে দেরি হয়েছে। নিহত ব্যক্তি কোন ধরনের আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সে ব্যাপারে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম