গাইবান্ধা জেলার সব বধ্যভূমি ও গণকবর সংরক্ষণ এবং বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবিতে বধ্যভূমি সংরক্ষণ কমিটি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
মঙ্গলবার শহরের ডিবি রোডে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও জেলার বেশিরভাগ বধ্যভূমি ও গণকবর সংরক্ষণ করা হয়নি। গাইবান্ধা শহরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন একটি নির্মাণাধীন বাড়ি ছিল পাক হানাদার বাহিনীর নির্যাতন কেন্দ্র। এটি ছিল গাইবান্ধার বড় একটি বধ্যভূমি। এই বাড়ির বিশাল চত্বরে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার পর শত শত নারী পুরুষকে মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়। এখানে বিভিন্ন বয়সী নারীদের ধরে এনে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে। স্বাধীনতার পর এখানে কয়েক শত শাড়ি, ব্লাউজ, পেটিকোট, ব্রেসিয়ার পাওয়া গেছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও এই বধ্যভূমিটি সংরক্ষণের কোনও উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করেনি। অথচ এই বধ্যভূমিটি ধ্বংসের পায়তারা চলছে। এটি অধিগ্রহণ করে সরকারি কোনও প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার চক্রান্ত হচ্ছে। বক্তারা অবিলম্বে এই জায়গাটি সংরক্ষণ করে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবি জানান।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন- বধ্যভূমি সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক জি এম চৌধুরী মিঠু, সদস্য সচিব জি এস এম আলমগীর, অধ্যাপক মাজহারউল মান্নান, অধ্যাপক জহুরুল কাইয়ুম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি মিহির ঘোষ প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/কালাম