ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একের পর এক ভেসে উঠছে মরদেহ। ঝালকাঠিতে লঞ্চ দুর্ঘটনায় পঞ্চম দিনে বিষখালি ও সুগন্ধা নদী থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও কোষ্টগার্ড সদস্যরা।
স্থানীয়দের কাছে থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিস ও বরিশাল কোষ্টগার্ড সদস্যরা মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। মঙ্গলবার সকালে জেলার সুগন্ধা নদীর নাাপিতের হাট এলাকা থেকে আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
দুপুরে ঝালকাঠি লঞ্চঘাট এলাকা থেকে ৭/৮ বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করে কোষ্টগার্ড সদস্যরা। এখন পর্যন্ত এঘটনায় মোট ৪৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, নিখোঁজ রয়েছে অনেকেই। জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও রেডক্রিসেন্ট নিখোঁজের তালিকা করেছে ভিন্ন। নিখোঁজদের স্বজনের সাথে কথা বলে এ তালিকা করেছে তারা।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সুগন্ধা-বিষখালী নদীতে ভেসে ওঠে আরো দুই জনের মরদেহ। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ডুবুরিদল মরদেহটি উদ্ধার করে। তারা জানায়, উদ্ধারকৃত যুবকের মুখমন্ডলে আগুনে পোড়া। গায়ে সোয়েটার রয়েছে। তবে এখনো তার পরিচয় শনাক্ত হয়নি।
ঝালকাঠির সদর থানার ওসি অপারেশন আবদুল মালেক জানান, কোস্টগার্ড খবর পেয়ে যে মরদেহটি উদ্ধার করে তার বয়স অনুমানিক ১৩ থেকে ১৪ বছর হবে। পরনে সার্ট গেঞ্জি ও ফুল প্যান্ট পরিহিত ছিল, লাশটির মুখ বিক্রিত হওয়ায় চেনা যাচ্ছেনা। এরপূর্বে আনুমানিক ৩০ বছর বয়সের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলার প্রস্ততি চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশ সনাক্ত করা হলে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে সোমবার রাতে ঝালকাঠি সদর থানায় স্বজন হারানো পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় লঞ্চ মালিক হাম জালাল শেখ সহ ৮জন নামধারী ও অজ্ঞাত ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল