নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌর এলাকার আজিম নগর রেলওয়ে স্টেশনের অদুরে নারায়নপুর এলাকায় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে এক নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন নারায়নপুর গ্রামের মনজুরর হমানের স্ত্রী সাথী খাতুন (৩২), একই গ্রামের মৃত পাঁচু শেখের ছেলে ফার্নিচার ব্যবসায়ী জমির উদ্দিন (৭০) এবং কেশবপুর গ্রামের মৃত জেসার আলীর ছেলে এবং সাহাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মমতাজ উদ্দিন।
প্রত্যক্ষ দশীরা জানান, নিহতরা তিনজনই রেল লাইন দিয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। তাদের সামনের দিক থেকে মালগাড়ী আসায় (আব্দুলপুর-ঈশ্বর্দী) পাশের লাইন দিয়ে হাঁটছিলেন। অপরদিকে পেছন দিক থেকে আসা টুঙ্গীপাড়া থেকে রাজশাহী গামী ‘টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস’ ট্রেনে কাটা পড়েন তারা। খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা তাদের লাশ নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে গোপালপুর রেলওয়ে স্টেশনে কর্তব্যরত পোর্টার মো. আবু রায়হান বলেন, ‘লাইনে সিগন্যাল বাতি না থাকায় এবং সামনে-পেছনে ট্রেন খেয়াল না করায় পেছন থেকে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পরই লালপুর থানা ও ঈশ্বরদী জিআরপিকে খবর দেওয়া হয়।’
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পুলিশ পৌঁছার পূর্বেই পরিবারের লোকজন তাদের লাশ বাড়িতে নিয়ে যায়।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ওসি মিহির রঞ্জন দেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
গোপালপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. বাবুল আক্তার বলেন, ‘এই স্টেশন দিয়ে আন্তনগর, মেইল, লোকাল ও মালবাহী ৬০টি ট্রেন প্রতিদিন যাতায়াত করে। যাত্রাবিরতি করা ২০টি ট্রেনে প্রতিদিন ১২০০ থেকে ১৫০০ যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। স্টেশনের কার্যক্রম ও সিগন্যাল বন্ধ হওয়ায় দুর্ঘটনার পাশাপাশি যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করি।’
বিডি প্রতিদিন/হিমেল