শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের গজনী অবকাশ কেন্দ্রে মিনি চিড়িয়াখানা থেকে ১৭টি বন্যপ্রাণী জব্দ করেছে বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। শুক্রবার সন্ধ্যায় বনবিভাগের বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের ইন্সপেক্টর নার্গিস সুলতানার নেতৃত্বে একটি দল মিনি চিড়িয়াখানায় অভিযান চালিয়ে এসব প্রাণী জব্দ করে।
জব্দকৃত ৭ প্রজাতির ১৭টি প্রাণীর মধ্যে ছিল ১টি অজগর, ৪টি বন বিড়াল, ১টি গন্ধ গুকুল, ১টি বাজ পাখি, ৫টি বানর, ১টি শিয়াল, ৪টি হরিণ। এদিকে শনিবার দুপুরে শ্যামলি পার্কে হানা দেয় বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। এখানে কয়েকটি বানরের সন্ধান পাওয়া যায়। একটি বানর ধরে অবমুক্ত করা হয়েছে, বাকিগুলো পালিয়ে গেছে।
সূত্র জানায়, শিয়াল ও বানরগুলো রাতেই গারো পাহাড় বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। হরিণ ৪টি চিড়িয়াখানার ইজারাদারের জিম্মায় অনেকটা মুক্ত পরিবেশে রাখা হয়েছে। বাকি ১০টি প্রাণী বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে সাফারি পার্কে মুক্ত পরিবেশে রাখা হবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে, পরে সেগুলোর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী বনে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তরের শেরপুর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে গজনী অবকাশ কেন্দ্রের ভেতরে দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য এ মিনি চিড়িয়াখানা গড়ে তোলা হয়। এটি পরিচালনা করছিলেন ইজারাদার ফরিদ আহমেদ। তবে তিনি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২-এর ৬ (১) ধারা লঙ্ঘন করে অনুমতি ছাড়া বন্যপ্রাণী আটকে রেখে তা দর্শনার্থীদের দেখিয়ে আসছিলেন।
বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা জানান, বন্যপ্রাণী সংগ্রহ, দখলে রাখা, প্রদর্শন ও সংরক্ষণ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই এখান থেকে ১৭টি বন্যপ্রাণী জব্দ করা হয়। জব্দ করা প্রাণীগুলো কিছুদিন কোয়ারেন্টিনে রেখে স্বাভাবিক বন্য পরিবেশে অবমুক্ত করা হবে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইগাতীর রাংটিয়া রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক তানভীর আহমেদ, শেরপুর জেলা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জার আবদুল্লাহ আল আমিন, বারিজুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা সুমন মিয়া ও র্যাপিড রেসপন্স বিডির সদস্যরা।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল