সুন্দরবনের দুটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন আগুন প্রতিরোধে তিন দফা সুপারিশ রেখে দাখিল করেছে। এছাড়া সুন্দরবনে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী মৌয়ালদের মশাল ও বিড়ি-সিগারেটের নিক্ষিপ্ত আগুন থেকে এবং বনের মধ্যে বিলে মিঠাপানির মাছ ধরার স্থান পরিষ্কার করার জন্য জেলেরা বনে আগুন লাগিয়ে থাকে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে আগ্নিকাণ্ডের প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, সুন্দরবনে দুই দফা আগুন কারা লাগিয়েছে তাদের চিহ্নিত করতে পারেনি তদন্ত কমিটি।
সুন্দরবন বিভাগ জানায়, গত ২২ মার্চ বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর ষ্টেশনের কলমতেজী টহল ফাঁড়ির টেপার বিল এলাকার বনে প্রথম ও এর দুইদিনের মধ্যে ২৪ মার্চ পার্শ্ববর্তী ধানসাগর টহল ফাঁড়ির শাপলার বিল এলাকার বনে দ্বিতীয় আগুনে প্রায় ৮ একর বন পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ দুটি ঘটনায় সুন্দরবন বিভাগ চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) দীপন চন্দ্র দাস প্রধান করে তিন সদস্যের পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। বৃহস্পতিবার ওই পৃথক দুটি তদন্ত প্রতিবেদনে সুন্দরবনের আগুন প্রতিরোধে ভোলা নদী পুনঃখনন করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা, সুন্দরবনের বলা কাঠ কাটার পাস পারমিট প্রদান, বনের পাহারা জোরদার, ভিটিআরটি ও সিপিজি কমিটিকে আরো সক্রিয় করার সুপারিশও করা হয়েছে। সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন হলে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড সংরক্ষিতএই বনের আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে বন বিভাগ।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, সুন্দরবনে আগুনের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের জমা দেয়া প্রতিবেদনে প্রধানত মৌয়ালী ও বিলে মিঠাপানির মাছ ধরার জন্য জেলেদের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আগুন প্রতিরোধে ভোলা নদী পুনঃখনন, বলাকাঠ কাটার পাস পারমিট প্রদান, সুন্দরবনের পাহারা জোরদারকরণসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ রয়েছে। জমা দেয়া প্রতিবেদনটি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ