শিরোনাম
- অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
- ‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
- ৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়
- সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার
- আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
- শিশুসন্তানের সামনেই মাকে কোপাল সন্ত্রাসীরা, অভিযুক্ত গ্রেফতার
- সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
- ১৬ বছরে শিক্ষা খাতকেও দলীয়করণ করা হয়েছে: খোকন
- বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে বিএনপির শুভেচ্ছা
- প্রথমে স্থানীয়, পরে জাতীয় নির্বাচন চায় জামায়াত
- স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে
- শিবচরে ইয়াবা ও ককটেল উদ্ধার
- আ. লীগ নেতার চাঁদা আদায় আড়াল করতে বিএনপির নেতার নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ
- আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
- লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
- বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
- যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
- গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে চুরি হওয়া একটি লেমুর উদ্ধার, গ্রেফতার ১
- গাইবান্ধায় বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন
- এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০
ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে রামেক হাসপাতালে, কেনা হলো স্ট্রিপ
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন

দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু জ্বর। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছেন অন্তত ৪১ জন রোগী। কিন্তু এই হাসপাতালে এতো দিন ডেঙ্গু রোগ শনাক্ত করার উপকরণ ‘স্ট্রিপ’ ছিল না। অবশেষে রবিবার স্ট্রিপ কিনেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে এর খরচ বহন করতে হবে রোগীদের।
রোগীরা জানিয়েছেন, স্ট্রিপের কোনো সরবরাহ না থাকার কারণে তাদের পরীক্ষা বাইরে থেকে করাতে হয়েছে। এতে তারা ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। অথচ এই স্ট্রিপ হাসপাতাল থেকেই তাদের বিনামূল্যে পাওয়ার কথা ছিল। রবিবার হাসপাতালে স্ট্রিপ এলেও তাদের অন্তত ২৮০ টাকা লাগতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
রামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ২৭ জন। রাতে ভর্তি হন আরও তিনজন। এরপর মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩০ জনে। এদের মধ্যে রবিবার পাঁচজন ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। এরও আগে ১১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। গত ১৫ জুলাই থেকে এই হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হতে শুরু করে। কর্তৃপক্ষের দাবি, যারা ভর্তি হয়েছেন তারা সবাই ঢাকা থেকে এসেছেন। রাজশাহীতে আক্রান্ত হয়েছেন এমন রোগী পাওয়া যায়নি।
রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রবিবার সকালেও স্ট্রিপ না থাকার কারণে জ্বর পরীক্ষার জন্য বাইরের রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে রক্তের নানা ধরনের পরীক্ষার জন্যও বাইরে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে নামমাত্র নাপা ট্যাবলেট ছাড়া আর কোনো ওষুধ পাচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন তারা।
হাসপাতালে ভর্তি আছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন। তার ছেলে আহসান হাবিব জানান, গত ২৪ জুলাই তার বাবাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। এই তিনদিনে তাদের বাইরে থেকে ৩ হাজার টাকার পরীক্ষা করাতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তাদের লিখে দেওয়া হয় যে সকালের আগেই এই পরীক্ষার প্রতিবেদন দিতে হবে। কিন্তু হাসপাতালে পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় বেসরকারি রোগ নির্ণয় কেন্দ্র থেকে লোক এসে রক্তের নমুনা নিয়ে যাচ্ছেন।
রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস বলেন, হাসপাতালে স্ট্রিপের সরবরাহ ছিল না। তাই বাইরে থেকে পরীক্ষাটা করাতে হচ্ছিল। রবিবার দুপুরে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্ট্রিপ আনা হয়েছে। এই পরীক্ষাও এখন হাসপাতালে হবে। এটা পরীক্ষা করতে রোগীদের ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা খরচ হতে পারে। অন্যান্য পরীক্ষাও বাইরে করতে হচ্ছে রোগীদের এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সিবিসি ও পস্নাটিলেট পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। এগুলো ভেতরেই হচ্ছে। তবে রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হবে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেই।’
বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেন, এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর একটি পরীক্ষা ছাড়া বাকি সব পরীক্ষাই ভেতরে করা হচ্ছিল। এখন সবগুলোই ভেতরে হবে। তার কাছে এমন খবর আছে। চিকিৎসায় যেন কোনো খরচ না হয় তিনি সেই বিষয়টি দেখবেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম
এই বিভাগের আরও খবর