শীর্ষ অভিনেতা মোশাররফ করিম। দীর্ঘ সময় ধরেই টিভি নাটক, বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্রে কাজ করছেন সদর্পে। বেশ কয়েক বছর হলো দুই বাংলায় ওটিটি ও চলচ্চিত্রে কিছু চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করে হইচই ফেলে দিয়েছেন এ ভার্সেটাইল অভিনেতা। ঈদে ফের ‘চক্কর ৩০২’ দিয়ে মুগ্ধতা কেড়েছেন। এ তারকার সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল
অসুস্থ ছিলেন, এখন শরীর কেমন?
আছি, ভালো আছি। এখন পুরোপুরি সুস্থ। কয়েক দিন আগে চেকআপ করিয়েছি। সব ঠিকঠাক আছে।
তাহলে আবার শুটিং কবে শুরু করছেন?
করব, তাও চার-পাঁচ দিন পর। একটি ফিল্মের শুটিং।
সেটা কি সঞ্জয় সমদ্দারের ইনসাফ?
হুমম। কিছু শুটিং কাজ এখনো বাকি আছে। মাঝে তো এই অপারেশনের জন্য বিরতি। দেখা যাক, এবার বাকি শুটিং শুরু করি।
সবাইকে টক্কর দিতে ‘চক্কর ৩০২’ নিয়ে হাজির হলেন ঈদে, কেমন হলো?
সবাই দেখে তো ভালোই বলছে। ঈদের পর থেকে এখন পর্যন্ত চক্কর-এর রেজাল্ট ভালো। জীবন বলল, শো হাউসফুল গেছে, এটা আশার কথা।
জীবন যদি চক্কর-এর সিক্যুয়াল বানায়, সেটা কি করবেন?
কেন নয়! অবশ্যই করব। আমি জীবনের চক্করে বারবার পড়তে চাই...হাহাহা।
শাকিব খান, সিয়াম, নিশো আর সজলের সিনেমা চলছে প্রেক্ষাগৃহে। প্রতিযোগিতাটা কতটা জমছে?
আর্টের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বিশ্বাস করি না। ব্যাপারটা প্রতিযোগিতা না; ব্যাপারটা হলো আমি যেটা করছি, সেটা হয়ে ওঠা। সেটা ঠিকঠাক মতো করতে পারছি কি না। আর নানা ধরনের সিনেমাই তো হতে পারে। অসুবিধার কিছু নেই। সেটা ফোক ফ্যান্টাসির হতে পারে। সেটা খুব মারামারির সিনেমা হতে পারে। তবে যাই হোক না কেন, হয়ে ওঠাটা হলো জরুরি।
এই যে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয়, একটা সঙ্গে অন্যটার কোনো মিল নেই। সেটা কীভাবে সম্ভব?
এক চরিত্র থেকে অন্য চরিত্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে আসলে কোনো সূত্র নাই। বা এমন কোনো পথ আমি বলে দেব, তেমনটা না। নানারকম চরিত্র করছি। আমার পেশা হচ্ছে অভিনয় করা। বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করতে আমার ভালো লাগে। আমার ভালো লাগে বলে পরবর্তী যে চরিত্র আমার সামনে আসে, সেই চরিত্রে আমি ডুব দেওয়ার চেষ্টা করি।
জীবনে অনেক চরিত্র করেছেন। এমন চরিত্র আছে যেটি করার ইচ্ছা আছে?
আছে তো। যেমন তোমার চরিত্র, এরকম চরিত্রও করতে ইচ্ছা করে। মানে আগাগোড়া একটা সুন্দর নিপাট ইন্টারভিউ। মাঝখানে কোনো জায়গায় কোনো একটা খোঁচা থাকে...(হাসি)। এরকম চরিত্র আমার করতে ইচ্ছা করে। আবার আশপাশের অনেক চরিত্রই করতে ইচ্ছা করে। আমি অনেকবারই বলেছি যে, আমি কতটুকু পারি জানি না, তবে আমার চেটেপুটে খেতে ইচ্ছা করে বিভিন্ন চরিত্র।
দর্শক কী চায় তার ওপর নির্ভর করেই কি শিল্পীরা কাজটি করে থাকেন?
আমি আসলে অভিনয় করি তো। তো শিল্পের ক্ষেত্রে আমার কাছে মনে হয় ওই বিশ্বাসটা খুব একটা ভালো না, এটা আমার মত। যে আগে থেকেই মনকে বাজারে পাঠানো। দর্শক কী চাচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে আসলে সৃজনশীলতা ব্যাহত হয়। আমি আমার কাজটা ঠিকঠাকভাবে করব, সুন্দরভাবে করব এবং কাজটি করে আমিই তৃপ্তি পাই কি না, সেটাই আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি তৃপ্তি পেলে বিশ্বাস যে দর্শকও তৃপ্তি পাবে এবং তাই হয়।
সামাজিক মাধ্যমে খুব কম অ্যাকটিভ দেখা যায় আপনাকে...
আমি সাধারণভাবে ফেসবুক বা সামাজিক মাধ্যম থেকে একটু আলাদা থাকি; একটু বিচ্যুত। এগুলোর মধ্যে অতটা নাই।