'নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ' ছবিটির কেমন রেসপন্স পেয়েছেন?
শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমি এখনো সিনেমা হলে গিয়ে ছবিটি দেখতে পারিনি। কিন্তু আমার পরিচিত যারা ছবিটি দেখেছে, সবাই আমার প্রশংসা করেছেন। বলেছেন অভিনয় নাকি ভালো হয়েছে। নিজের অভিনয়ের প্রশংসা শুনলে কার না ভালো লাগে।
ছবিটি নিয়ে কিছু বলুন?
ছবিটির বেশির ভাগ দৃশ্যে গ্রামের পটভূমি রয়েছে। আর ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের আগের সময়কার ঘটনা নিয়ে ছবিটির গল্প। এর আগেও গ্রামীণ পরিবেশে কাজ করেছি। এবার মুন্সীগঞ্জে এ ছবির কাজ করতে ভালোই লেগেছে। গল্প অনুযায়ী সব কিছুই বেশ প্রাণবন্ত ছিল। আমি তো মনে করি, শতভাগ সাফল্য পাবে। আর এ ছবির কাহিনী তো কবিতা থেকে নেওয়া। চিন্তাধারা থেকে শুরু করে দৃশ্যায়ন, সব কিছুতেই দর্শকরা বৈচিত্র্য খুঁজে পাচ্ছেন।
এই ছবিতে কবি নির্মলেন্দু গুণ অভিনয় করেছেন।
আমার দুর্ভাগ্য, তার সঙ্গে আমার কোনো কাজ ছিল না। তবে গত বৃহস্পতিবার বলাকা প্রেক্ষাগৃহে নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ ছবির উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে তার সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমি কথা বলেছি। তিনি আমার অভিনয়ের খুব প্রশংসা করেছেন। আমাকে আশীর্বাদ করেছেন। গুণ দা'র আশীর্বাদ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।
পশ্চিমবঙ্গের নির্মাতা দীপক সান্যালের 'সমাধি' ছবিটির কি খবর?
ওটা ছিল আমার কলকাতা ছবিতে প্রথম কাজ। এতে গোবিন্দের সঙ্গে কাজ করতে পেরে বেশ ভালো লেগেছে। কারণ ছোটবেলা থেকে তার ছবি দেখেছি। এত জনপ্রিয় একজন তারকার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাব কখনো ভাবিনি। আর ওপার বাংলার ইউনিটটাও ছিল চমৎকার। ছবিটি কবে মুক্তি পাবে তা জানতে পারিনি। সবকিছু ঠিকঠাক হলে নিশ্চয়ই জানাবে।
নতুন কোনো ছবিতে কাজ করছেন?
এ মুহূর্তে কাজ করছি না। তবে বেশ কিছু ছবিতে কাজ করার কথা চলছে। তবে এ বছর উত্তম আকাশের নতুন ছবিটির কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সব দেখে-শুনে কাজ করতে চাই।
নিজের অভিনয়ে আপনি কতখানি তৃপ্ত?
ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল নায়িকা হব। সেটা পূরণ হয়েছে। আর এত মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, তাই জীবনে আমার কোনো আফসোস নেই। অবস্থানের দিক দিয়ে মনে করি, আমি বড় জায়গাতেই আছি। আর শিক্ষার কোনো শেষ নেই। আমি মনে করি, আমার আরও অনেক কিছু শেখার আছে।
আলী আফতাব