শাকিবের বুকে জায়গা করে নিয়েছেন পরীমণি। তাই তো পরীমণির কারণে মায়ের কথা রাখতে গিয়েও দ্বিধাদ্বন্দ্বে পরে গেছেন শাকিব। ছোটবেলায় তানহা তাসনিয়ার সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে রাখেন তার মা। একদিকে ভালোবাসার পরীমণি অন্যদিকে মা। সব মিলিয়ে ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ধূমকেতু ছবিটি। শাকিব খানের পুবাইলের বাড়ি জান্নাতে গত ২৪ জুন ছবিটির শুটিং শুরু করেছেন পরিচালক শফিক হাসান। এ ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন রেবেকা, অমিত হাসান, দিতি, আলী রাজ প্রমুখ। মুন্নী প্রোডাকশন্সের ব্যানারে কাহিনী সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন মুনীর রেজা।
শিল্পপতি আলীরাজ প্রতি বছর নিজের স্ত্রীকে নিয়ে বাবা-মার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে নিজ গ্রামে যান। এবার গ্রামে যাওয়ার পথে শিকার হন দুর্ঘটনার। অন্যদিকে তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা থাকায় ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। আর সেখানেই জন্ম হয় পরীমণির। এ হাসপাতালেই পরীমণির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাত্ হয় শাকিবের। মূূলত গল্পের শুরু সেখান থেকেই। ধীরে ধীরে কাহিনীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বড় হতে থাকে দুজনেই। ভালো লাগা থেকে ভালোবাসা। অতঃপর লজিং মাস্টার হিসেবে পরীমণির বাসায় প্রবেশ ঘটে শাকিবের। গল্পের আরেক নায়িকা তানহা তাসনিয়া। ছোটবেলায় যার সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে রাখেন শাকিবের মা। শুরু হয় কাহিনীর নাটকীয়তা।
এক জ্যোতিষী ভবিষ্যদ্বাণী করেন শাকিবের দুই বিয়ে হবে এবং প্রথম স্ত্রী মারা যাবে। এ নিয়ে তিনি পড়েন দুশ্চিন্তায়। চিন্তা করেন পরীমণিকে বিয়ে করলে সে হয়তো মরে যাবে। ঘটনাক্রমে ছোটবেলায় কথা দেওয়া সেই তাসনিয়া দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। চিকিত্সকরা জানান, সে আর বেশিদিন বাঁচবে না। খবরটা শুনে নড়েচড়ে ওঠেন শাকিব। জ্যোতিষীর ভবিষ্যদ্বাণী নাড়া দেয় তার মন। ভাবতে থাকেন তাসনিয়াকে প্রথম বউ হিসেবে গ্রহণ করা যায়। যেহেতু সে অল্প কিছুদিনের যাত্রী। কিন্তু বিয়ের পরই ঘটে চূড়ান্ত ক্লাইমেক্স। চিকিত্সকরা জানান, ভুল রিপোর্টের কারণে সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি তাসনিয়ার। তাসনিয়া মৃত্যুপথযাত্রী নন। তিনি এখন স্বাভাবিক। এ খবর শুনে মাথায় বাজ পড়ে শাকিবের। একদিকে তাসনিয়া অন্যদিকে বুকের ভেতর লুকিয়ে রাখা পরীমণি। এ ক্লাইমেক্সের মধ্য দিয়েই গড়াতে থাকে ছবির কাহিনী।
ছবিতে একটি আইটেমসহ গান আছে সাতটি। গানের কথা লিখেছেন সুদীপ কুমার দীপ। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন আহমেদ হুমায়ুন। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কুমার বিশ্বজিত্, কিশোর, খেয়া, সিংকি ও ভারতের জোজো।
ঢাকা, পুবাইল, কক্সবাজারসহ দেশের নানা মনোরম লোকেশনে ছবির শুটিং হবে। শুটিং শেষ করে এ বছরই ছবিটি মুক্তি দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।