ফাউল, অফসাইডসহ ফুটবলের যতসব নিয়ম-কানুন বুঝেন বা না-ই বুঝেন আর্জেন্টিনা মাঠে নামলেই পর্দা থেকে চোখ সরান না বিদ্যা বালান। কারণ তার পুরো ফুটবলপ্রেম লিওনেল মেসিকে ঘিরেই। মেসি সুদর্শন বলেই ফুটবল খেলা দেখেন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এই অভিনেত্রী।
বিদ্যা বলেন, 'শুধু মেসিকেই চিনি কারণ তিনি দেখতে দারুণ সুন্দর! মেসি মাঠে নামলে বন্ধুরা আমাকে জানিয়ে দেয়। তখনই টিভি চালিয়ে বসে শুধু তাকেই দেখি। এ ছাড়া ফুটবল নিয়ে আমার কোনো আগ্রহ নেই।'
কলকাতায় নিজের আগামী মুভি 'ববি জাসুস'-এর প্রচারণার সময় সীমিত ফুটবলজ্ঞানের কথা স্বীকার করেন বিদ্যা। মুভিটির গল্প এক নারী গোয়েন্দাকে ঘিরে। অভিনেত্রী দিয়া মির্জা প্রযোজিত ও সমর শাইখ পরিচালিত এটি মুক্তি পাবে আগামী ৪ জুলাই।
কলকাতায় ভারতের বাংলা ছবির জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিদ্যা। আগামীতে তারা একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন। ৩৬ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী বলেন, 'আজ তাকে বলেছি ববি দেখা করতে এসেছে কাকাবাবুর (প্রসেনজিৎ অভিনীত জনপ্রিয় চরিত্র) কাছে। তিনি আমাকে অনেক উৎসাহ দেন। আমার প্রতিটি মুভি মুক্তির প্রাক্কালে এসএমএস করে শুভকামনা জানান। প্রয়াত ঋতুপর্ণ ঘোষ আমাদের দু'জনকে একত্র করে মুভি তৈরি করতে চেয়েছিলেন। যুতসই চিত্রনাট্য পেলেই আমরা একসঙ্গে কাজ করবো।'
এদিকে 'ববি জাসুস'-এর কাণ্ডজ্ঞান দেখে ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতারা। এতে ১২টি ভিন্ন রূপে দেখা যাবে তাকে। এর প্রচারণার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছদ্মবেশে গুজরাটে গিয়ে সবাইকে চমকে দিতে চেয়েছেন তিনি। কিন্তু এ খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিজেপি নেতারা।
গুজরাটে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে হতাশ বিদ্যা। ইচ্ছা ছিল, মুভিটির প্রচারে মোদি সেজে শহরের কিছু কিছু এলাকায় ঘুরবেন, লোকসভা ভোটে আরো অনেকের সঙ্গে মোদির নাম বিজেপি প্রার্থী হিসেবে প্রস্তাব করেছিলেন যে চা বিক্রেতা, তার স্টলে যাবেন বলেও ঠিক করেছিলেন। কিন্তু বিক্ষোভের মুখে তার সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। কর্মসূচি বাতিল করেন তিনি। ছদ্মবেশ ধরে শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরেই ভদোদরা সফর শেষ করেন। কলকাতায় পা রেখে এ নিয়ে আফসোসও করতে শোনা গেল তাকে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধাই জানাতে চেয়েছিলাম, জানান বিদ্যা। তার ভাষ্য, 'আমি কোনো রাজনীতি করতে চাইনি এটা নিয়ে। যা ঘটে গেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। আমি শুধু প্রধানমন্ত্রীকে তার শহর ভদোদরাতে শ্রদ্ধা-সম্মান দেখাতেই চেয়েছিলাম। কারো আবেগ-অনুভূতিতে আঘাত দিতে চাইনি। তাই শেষমেষ আমি না যাওয়ারই সিদ্ধান্ত নিলাম।'