২০১০ সালে 'ব্যান্ড বাজা বারাত' দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। তারপর রণবীর সিং'র জীবনে সাফল্যই সাফল্য। মাত্র ৯ বছরে ১৬টি ছবি করে ফেলেছেন। একই বছরে 'পদ্মাবত', 'সিম্বা'র মতো দুইটি ব্লকবাস্টর ছবি, এই সবকিছুই তার স্বপ্নেরও অতীত ছিল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে খোলামেলা ভাবে ধরা পড়লেন বলিউডের 'খিলজি'। কথা বলতে বলতে আবেগতাড়িত হয়ে পড়তে দেখা গেল তাকে।
রণবীরের কথায়, ''অভিনয় করারটা তার জীবনে স্বপ্ন ছিল, আর সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আর তার একের পর এক ছবি হিট দিচ্ছে এটা তার কাছে অনেক বড় পাওনা। আর ছবি ব্লকবাস্টার হচ্ছে এটা তো স্বপ্নেরও অতীত বলে জানালেন রণবীর। তবে যা কিছু তার জীবনে হচ্ছে, সবকিছুর জন্য নিজের বাবা-মার প্রতি বারবার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রণবীর সিং।
রণবীর জানান, তিনি চান, তিনি যত বড়ই হয়ে যান না কেন, তিনি যেন একই রকম থাকেন। এটাই তিনি চান। কারণ তার কথায়, মানুষ যেমনটা সকলকে দেয়, তেমনটাই ফিরে পায়। অর্থাৎ যেমন ব্যবহার করবে তেমনটাই পাবে। আর আজকাল কোনও মানুষ ঠিক কেমন তা চাপা থাকে না, কারণ চারিদিকে ক্যামেরা রয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে। তাই আপনি আসলে যেমন তেমনটা প্রকাশ্যে চলে আসবেই আসবে। আর আমার কাজই হল মানুষকে নিজে খুশি থাকা, মানুষকে খুশি করা। ''
শানু বলে যে ব্যক্তি আমাকে আবিষ্কার করেছিল, সেই শানু যখন আমায় 'বাজিরাও মাস্তানি'-তে দেখছিল, অবাক হয়ে গিয়েছিল, ও বলেছিল ও বিশ্বাসই করতে পারছিল না, এটা সেই রণবীর, যাকে ও দীর্ঘদিন ধরে চেনে।'' এই কথা বলতে বলতেই আবেগে চোখ ছল ছল করে ওঠে রণবীরের। জোর করে ঠোটে ঠোট চেপে কান্না আটকানোর চেষ্টা করেন। বেশকিছুক্ষণ কথা বলতে পারেননি অভিনেতা। তারপর ফের কথা বলা শুরু করেন।
রণবীরের কথায়, ''আমি চাই বলিউডে সবার ছবি হিট হোক, কারণ একটা ছবি করতে কী ধরনের পরিশ্রম করতে হয় আমি জানি, সবাই সে পরিশ্রমটা করে। তাই চাই সবার ছবি চলুক। আমি কারও খারাপ চাই না। কারোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে চাই না। আমি সেই জন্য স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাতেও অংশ নিতাম না। কারণ আমি প্রতিযোগিতায় বিশ্বাস করি না। আমার কাছে স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানের দিনটা প্রিয় ছিল। কারণ আমি মানুষকে এন্টারটেইন করে খুশি হই, এটাই অমার কাজ। আমি অংক বুঝি না, পঞ্চম শ্রেণিতে পাঁচবার অংকে ফেল করেছি। আমার কাছে যা কিছু করো আনন্দের সঙ্গে করো, সবাইকে আনন্দ দাও। ঈশ্বর যা কিছু আমায় দিয়েছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ, আমার মা-বাবার কাছেও কৃতজ্ঞ।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর